০৪:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ৭ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

হে বিশ্ব বাসী শান্তিকামী মানুষেরা এক হও।।

  • Reporter Name
  • প্রকাশের সময় : ০৭:০১:৩১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ মার্চ ২০২০
  • 382

আমার আল্লাহর মনোনীত ধর্মই ইসলাম ও আল্লাহর পরিচয়।।১।। শিষ্টের পালন ও দুষ্টের দমন এই অনিবার্য কারণেই যুগে যুগে পৃথিবীতে অবতার বা ধর্ম গুরুর আবির্ভাব ঘটে। অবতার শব্দের অর্থ পৃথিবীতে আবির্ভূত হওয়া।ঈশ্বরের অবতার বলতে বিশ্ব নিখিলে ঐশ্বী প্রত্যাদেশ প্রচারক ও বাস্তবায়নকারী মহাপুরুষের ধুলোর ধরণীতে জন্ম গ্রহণ।। মানুষ যখন অধর্মের প্রতি আসক্ত হয়ে প্রকৃত ধর্ম হতে দূরে সরে যায় পর্থির স্বার্থ সিদ্ধির জন্য প্রকৃত ধর্মের বিকৃতি ঘটায়, ধর্মের নামে অধর্মের কাজ করে, ধর্মে অনভিজ্ঞ লোকদের ধর্মের নামে অধর্ম শিক্ষা দেয়, মহাপ্রভুর প্রকৃত ভক্তদের উপর জুলুম করে,হিংসা বিদ্বেষ এবং অরাজকতা বৃদ্ধি পায়,পাপী এবং অত্যাচারীরা প্রভাবশালী হয়,স্বার্থসিদ্ধি ও পরিবার প্রতিপালনের ভিতর ধর্মকে সীমিত করে ফেলে,আল্লাহর দেয়া উপভোগ্য দ্রব্য সমূহের অসৎ ব্যবহার করে। রাহাজানি, হত্যা,কহল বিবাদ,লুন্ঠন ইত্যাদি বেড়ে যায় প্রকৃত ধর্ম চরম ধ্বংসের মুখোমুখি হয়,তখন কুপ্রবৃত্তি ও বিশৃংখলার হাত হতে মানব জাতিকে রক্ষা করতে এবং প্রভূ প্রদত্ত ধর্ম অর্থাৎ জীবন ব্যবস্হাকে নতুন ভাবে সুপ্রতিষ্ঠিত করতে অবতার বা নবী রাসুলের তথা মহাপুরুষের শুভাগমন ঘটে। ফলে নির্যাতিত প্রবঞ্চিত মানুষ ফেলে স্বস্তির নিঃশ্বাস।সাধারণ গণমানুষের জীবনে গাঢ় অমানিশার অবসানে ভোরের সোনালী সূর্য উদিত হয়। থেমে যায় তখন মজলুমের আহাজারী,ধুলোর ধরণী তখন হয়ে উঠে সুষমন্ডিত ও ঐশর্যেমহিমাম্বিত। কিন্তুু এই অবতার বা মহামানবগণের এক এক জনের আবির্ভাবে মহাপ্রভুর নির্দেশে জীবন ব্যবস্হা আলাদা আলাদা রূপ পরিগ্রহ করেছে। যেমন মুসা (আঃ) এর অনুসারী ইহুদী নামে পরিচিত ইহুদিদের যিহুদা বড়ই শাস্তি দাতা।জীবন ব্যবস্হা মতে করুণা ও ক্ষমার চিহৃমাত্রও যিহুডার মধ্যে পরিদৃষ্ট হলো না। এলেন যীশু প্রেম-প্রীতি,ক্ষমার দীপ হাতে নিয়ে। যেন পাপী তাপীকে ক্ষমা করতেই এলেন এ মর্তের পৃথিবীতে। এ ক্ষমার ছিদ্র পথে গড়ে উঠল শোষণের পরাকাষ্ঠা। অগণিত মানুষ হলো মর্ম যাতনায় শিকার।নতুন আলো নিয়ে এলেন হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এবার আল্লাহ যিহুডার মত নিষ্ঠুর নন,যীশুর ক্ষমাশীল ঈশ্বর ননা এবার আল্লাহ ক্ষমাশীল ও শাস্তি দানকারী উভয়ই। তাঁর নীতিতে সৃষ্টিতে বঞ্চনা করে আল্লাহর তৃপ্তি বিধানের কোন বিধান নেই।বর্ণ বৈষম্য সম্পদ বৈষম্য নিমূলই তাঁর বিধানের শ্রেষ্ঠত্ব। কিন্তুু সামান্য সংখ্যক দিবস অতিক্রান্তির পরই তা তিরোহিত হলো। ধর্ম থাকল ধর্মের স্হলে আর মানুষ তা প্রতিপালন না করে হলো ধর্মচ্যুত। তাই হে মানবজাতি,তাই কেন যে এত পরিবর্তন তা বুঝাই যাচ্ছে। কেননা মানুষ ধর্মের জন্য নয়,বরং মানুষের জন্য ধর্ম তথা জীবন ব্যবস্হা।মূলতঃ এই যে জীবন ব্যবস্হা,যা বিভিন্ন সময়ে প্রতিষ্ঠিত হয়ে তা আত্ন কেন্দ্রিক না হয়ে, আত্ন বিমুখ হয়েছে, তা ধরে রেখেই মানুষ যার যার স্বার্থপরতা লয়ে একে অপরের বিরোধীতা করে মানব সমাজকে তথা বিশ্বকে আরও দুর্বিসহ অবস্হাতে ফেলেছে। মুসলমানের মসজিদ,খ্রীষ্টানদের গীর্জা,হিন্দু ও বৌদ্ধদের মন্দির, সকলের মূল উদ্দেশ্য একই। অথচ এদের বৈশিষ্ট্য ও গৌরব রক্ষা করতে যুগ যুগ ধরে এ সকল জাতি পরস্পরের রক্তে হস্ত কলংকিত করেছে এবং করছে। সত্যকে না বুঝে ভ্রান্ত ধারণায় প্রতিষ্ঠিত হয়ে আল্লাহকে সন্তুুষ্ট করার অজুহাতে তাঁর এই সুন্দর সৃষ্টির উপর দিয়ে অবলীলাক্রমে নৃশংস ধ্বংসের স্রোত বহিয়ে দিয়েছে। কেন এমন হয়?এমনটি হবার কারণ শুধু একটাই,তাহলো বাহ্যিক বিষয় তথা বাহ্যিক জীবন ব্যবস্হা কেন প্রবর্তন করা হলো তা না বুঝার কারণে। কেননা,সকল নবী রাসুল বা অবতারদের আগমনের উদ্দেশ্য এক ও অভিন্ন,প্রত্যেক আবিভূত মহাপুরুষের ইবাদতের হাকিকত এক।বাহ্যিক বিধান মূল বিষয়বস্তুু নহে।মূল বিষয়বস্তুু হলো,সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠিত করা।যারা বাহ্যিক জীবন বিধানের উর্ধ্বে গমন করেন তারাই একমাত্র নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে এ সবের বিচার বিবেচনা করতে পারেন। কিন্তুু শাস্ত্রকারগণ যখনই এর রূপদান করেছে তখনই এর পরিবর্তন এসেছে,এসেছে রূপকের ঝলকে আবদ্ধতা। যীশু বা ঈসা(আঃ) এর একেশ্বরবাদ রোমান ক্যাথলিকের নিকট এক প্রকার রূপ ধারণ করল আবার প্রোটেষ্টাইনদের হস্তে উহার রূপ হলো অন্য রকম। ইসলামে কি রূপভেদ সামান্য ? হযরত (সঃ) এর তিরোধানের পরপরই তাঁর মহান শিক্ষা সুন্নীদের নিকট লাভ করল এক প্রকারে আবার শিয়া, রাফেজী, খারেজী মুতাযিলা, মর্জিয়াদের নিকট অন্য প্রকার।এভাবে হুজুর (সঃ)এর ভবিষ্যৎ বাণীর হুবহু বাতিল বাহাত্তর ফেরকার উদ্ভব ঘটছে। হযরত মুহাম্মদ (সঃ) হেরা পর্বতের গুহায় গভীর ধ্যানমগ্নাবস্হায় দেখেছেন আল্লাহর ভীষম রুদ্ররুপের ভিতর কোমল মধুরতা,তাঁর ন্যায় দন্ডের পশ্চাতে রয়েছে ক্ষমার সুশীতল ছায়া। তাঁরই প্রবল প্লাবনের পদরেখায় অংকিত হয় নব নব সৃষ্টির মাধুরী ও লীলা। ধর্মের দিক দিয়ে আল্লাহর সম্বদ্ধে ধারণা ইসলামেই সর্বাপেক্ষা পূর্ণতা লাভ করেছে।চলবে, খলিফা,আবু বক্কর সিদ্দিক।

Tag :

বালিয়াকান্দি মোটরসাইকেল সহ ইয়াবা ব্যবসায়ী গ্রেফতার ৩

You cannot copy content of this page

হে বিশ্ব বাসী শান্তিকামী মানুষেরা এক হও।।

প্রকাশের সময় : ০৭:০১:৩১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ মার্চ ২০২০

আমার আল্লাহর মনোনীত ধর্মই ইসলাম ও আল্লাহর পরিচয়।।১।। শিষ্টের পালন ও দুষ্টের দমন এই অনিবার্য কারণেই যুগে যুগে পৃথিবীতে অবতার বা ধর্ম গুরুর আবির্ভাব ঘটে। অবতার শব্দের অর্থ পৃথিবীতে আবির্ভূত হওয়া।ঈশ্বরের অবতার বলতে বিশ্ব নিখিলে ঐশ্বী প্রত্যাদেশ প্রচারক ও বাস্তবায়নকারী মহাপুরুষের ধুলোর ধরণীতে জন্ম গ্রহণ।। মানুষ যখন অধর্মের প্রতি আসক্ত হয়ে প্রকৃত ধর্ম হতে দূরে সরে যায় পর্থির স্বার্থ সিদ্ধির জন্য প্রকৃত ধর্মের বিকৃতি ঘটায়, ধর্মের নামে অধর্মের কাজ করে, ধর্মে অনভিজ্ঞ লোকদের ধর্মের নামে অধর্ম শিক্ষা দেয়, মহাপ্রভুর প্রকৃত ভক্তদের উপর জুলুম করে,হিংসা বিদ্বেষ এবং অরাজকতা বৃদ্ধি পায়,পাপী এবং অত্যাচারীরা প্রভাবশালী হয়,স্বার্থসিদ্ধি ও পরিবার প্রতিপালনের ভিতর ধর্মকে সীমিত করে ফেলে,আল্লাহর দেয়া উপভোগ্য দ্রব্য সমূহের অসৎ ব্যবহার করে। রাহাজানি, হত্যা,কহল বিবাদ,লুন্ঠন ইত্যাদি বেড়ে যায় প্রকৃত ধর্ম চরম ধ্বংসের মুখোমুখি হয়,তখন কুপ্রবৃত্তি ও বিশৃংখলার হাত হতে মানব জাতিকে রক্ষা করতে এবং প্রভূ প্রদত্ত ধর্ম অর্থাৎ জীবন ব্যবস্হাকে নতুন ভাবে সুপ্রতিষ্ঠিত করতে অবতার বা নবী রাসুলের তথা মহাপুরুষের শুভাগমন ঘটে। ফলে নির্যাতিত প্রবঞ্চিত মানুষ ফেলে স্বস্তির নিঃশ্বাস।সাধারণ গণমানুষের জীবনে গাঢ় অমানিশার অবসানে ভোরের সোনালী সূর্য উদিত হয়। থেমে যায় তখন মজলুমের আহাজারী,ধুলোর ধরণী তখন হয়ে উঠে সুষমন্ডিত ও ঐশর্যেমহিমাম্বিত। কিন্তুু এই অবতার বা মহামানবগণের এক এক জনের আবির্ভাবে মহাপ্রভুর নির্দেশে জীবন ব্যবস্হা আলাদা আলাদা রূপ পরিগ্রহ করেছে। যেমন মুসা (আঃ) এর অনুসারী ইহুদী নামে পরিচিত ইহুদিদের যিহুদা বড়ই শাস্তি দাতা।জীবন ব্যবস্হা মতে করুণা ও ক্ষমার চিহৃমাত্রও যিহুডার মধ্যে পরিদৃষ্ট হলো না। এলেন যীশু প্রেম-প্রীতি,ক্ষমার দীপ হাতে নিয়ে। যেন পাপী তাপীকে ক্ষমা করতেই এলেন এ মর্তের পৃথিবীতে। এ ক্ষমার ছিদ্র পথে গড়ে উঠল শোষণের পরাকাষ্ঠা। অগণিত মানুষ হলো মর্ম যাতনায় শিকার।নতুন আলো নিয়ে এলেন হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এবার আল্লাহ যিহুডার মত নিষ্ঠুর নন,যীশুর ক্ষমাশীল ঈশ্বর ননা এবার আল্লাহ ক্ষমাশীল ও শাস্তি দানকারী উভয়ই। তাঁর নীতিতে সৃষ্টিতে বঞ্চনা করে আল্লাহর তৃপ্তি বিধানের কোন বিধান নেই।বর্ণ বৈষম্য সম্পদ বৈষম্য নিমূলই তাঁর বিধানের শ্রেষ্ঠত্ব। কিন্তুু সামান্য সংখ্যক দিবস অতিক্রান্তির পরই তা তিরোহিত হলো। ধর্ম থাকল ধর্মের স্হলে আর মানুষ তা প্রতিপালন না করে হলো ধর্মচ্যুত। তাই হে মানবজাতি,তাই কেন যে এত পরিবর্তন তা বুঝাই যাচ্ছে। কেননা মানুষ ধর্মের জন্য নয়,বরং মানুষের জন্য ধর্ম তথা জীবন ব্যবস্হা।মূলতঃ এই যে জীবন ব্যবস্হা,যা বিভিন্ন সময়ে প্রতিষ্ঠিত হয়ে তা আত্ন কেন্দ্রিক না হয়ে, আত্ন বিমুখ হয়েছে, তা ধরে রেখেই মানুষ যার যার স্বার্থপরতা লয়ে একে অপরের বিরোধীতা করে মানব সমাজকে তথা বিশ্বকে আরও দুর্বিসহ অবস্হাতে ফেলেছে। মুসলমানের মসজিদ,খ্রীষ্টানদের গীর্জা,হিন্দু ও বৌদ্ধদের মন্দির, সকলের মূল উদ্দেশ্য একই। অথচ এদের বৈশিষ্ট্য ও গৌরব রক্ষা করতে যুগ যুগ ধরে এ সকল জাতি পরস্পরের রক্তে হস্ত কলংকিত করেছে এবং করছে। সত্যকে না বুঝে ভ্রান্ত ধারণায় প্রতিষ্ঠিত হয়ে আল্লাহকে সন্তুুষ্ট করার অজুহাতে তাঁর এই সুন্দর সৃষ্টির উপর দিয়ে অবলীলাক্রমে নৃশংস ধ্বংসের স্রোত বহিয়ে দিয়েছে। কেন এমন হয়?এমনটি হবার কারণ শুধু একটাই,তাহলো বাহ্যিক বিষয় তথা বাহ্যিক জীবন ব্যবস্হা কেন প্রবর্তন করা হলো তা না বুঝার কারণে। কেননা,সকল নবী রাসুল বা অবতারদের আগমনের উদ্দেশ্য এক ও অভিন্ন,প্রত্যেক আবিভূত মহাপুরুষের ইবাদতের হাকিকত এক।বাহ্যিক বিধান মূল বিষয়বস্তুু নহে।মূল বিষয়বস্তুু হলো,সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠিত করা।যারা বাহ্যিক জীবন বিধানের উর্ধ্বে গমন করেন তারাই একমাত্র নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে এ সবের বিচার বিবেচনা করতে পারেন। কিন্তুু শাস্ত্রকারগণ যখনই এর রূপদান করেছে তখনই এর পরিবর্তন এসেছে,এসেছে রূপকের ঝলকে আবদ্ধতা। যীশু বা ঈসা(আঃ) এর একেশ্বরবাদ রোমান ক্যাথলিকের নিকট এক প্রকার রূপ ধারণ করল আবার প্রোটেষ্টাইনদের হস্তে উহার রূপ হলো অন্য রকম। ইসলামে কি রূপভেদ সামান্য ? হযরত (সঃ) এর তিরোধানের পরপরই তাঁর মহান শিক্ষা সুন্নীদের নিকট লাভ করল এক প্রকারে আবার শিয়া, রাফেজী, খারেজী মুতাযিলা, মর্জিয়াদের নিকট অন্য প্রকার।এভাবে হুজুর (সঃ)এর ভবিষ্যৎ বাণীর হুবহু বাতিল বাহাত্তর ফেরকার উদ্ভব ঘটছে। হযরত মুহাম্মদ (সঃ) হেরা পর্বতের গুহায় গভীর ধ্যানমগ্নাবস্হায় দেখেছেন আল্লাহর ভীষম রুদ্ররুপের ভিতর কোমল মধুরতা,তাঁর ন্যায় দন্ডের পশ্চাতে রয়েছে ক্ষমার সুশীতল ছায়া। তাঁরই প্রবল প্লাবনের পদরেখায় অংকিত হয় নব নব সৃষ্টির মাধুরী ও লীলা। ধর্মের দিক দিয়ে আল্লাহর সম্বদ্ধে ধারণা ইসলামেই সর্বাপেক্ষা পূর্ণতা লাভ করেছে।চলবে, খলিফা,আবু বক্কর সিদ্দিক।