
রাঙামাটির গত এক সপ্তাহে হাম রোগে আক্রান্ত অন্তত ৫ শিশুর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। সেখানে তিন গ্রামে এখনো প্রায় শতাধিক শিশু হামে আক্রান্ত বলে নিশ্চিত করেছেন রাঙামাটির সিভিল সার্জন ডা. বিপাশ খীসা। বৃহস্পতিবার রাতে তিনি বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এতে মূলত শিশুরাই আক্রান্ত হচ্ছে। ইতোমধ্যেই ৫ শিশু মারা গেছে। বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
বিষয়টি স্বাস্থ্য বিভাগকে জানানোর সঙ্গে সঙ্গেই তারা পদক্ষেপ নিয়েছে। তবে গ্রামগুলি অত্যন্ত দূরে এবং দীর্ঘ হাঁটা পথ হওয়ায় সঠিক সময়ে চিকিৎসা সেবা পৌঁছানো কঠিন হচ্ছে। শুক্রবার আরেকটি মেডিক্যাল টিম যাচ্ছে, সেখানকার পরিস্থিতি বিবেচনা করে প্রয়োজনে আক্রান্ত শিশুদের হেলিকপ্টারে করে খাগড়াছড়ি শহরে নিয়ে যাওয়া হবে চিকিৎসার জন্য।
রাঙামাটির সিভিল সার্জন ডা. বিপাশ খীসা বলেন, আমরা জেনেছি দুর্গম ওই এলাকায় হঠাৎ হাম রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। হাম থেকে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে শিশুরা অসুস্থ হচ্ছে। আমরা জরুরি মেডিক্যাল টিম সেখানে পাঠিয়েছি। শুক্রবার বিজিবির সহযোগিতায় সেখানে হেলিকপ্টারে করে বিশেষ আরেকটি মেডিক্যাল টিম যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, আয়তনে দেশের সবচেয়ে বড় উপজেলা বাঘাইছড়ির সবচেয়ে দুর্গম ইউনিয়ন সাজেক। এই ইউনিয়নের সাজেক পর্যটনকেন্দ্র ছাড়া বাকি এলাকাগুলো অত্যন্ত দুর্গম। সেখানকার শিয়ালদহ এলাকাটিকে সবচে বেশি দুর্গম বলে বিবেচনা করা হয়। প্রায়ই সেখানে দুর্গমতার কারণে খাদ্যাভাব ও স্বাস্থ্য ঝুঁকির ঘটনা ঘটে। ৬০৭ বর্গকিলোমিটার আয়তনের সাজেক ইউনিয়নে লোকসংখ্যা প্রায় ৫২ হাজার । কিন্তু যোগাযোগ দুর্গমতা ও সীমান্তবর্তী অনতিক্রম্য এলাকা হওয়ায় সরকারি জরুরি চিকিৎসা সেবা সেখানে নিয়মিত পৌঁছায় না।