
বাঘাইছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও বিজিবির ৩ টি মেডিকেল টীম চিকিৎসা সেবায় কাজ করলেও আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলছে।
রাঙামাটির সিভিল সার্জান ডাঃ বিভাশ খিশা জানান, এখন পর্যন্ত ১২৩ জন শিশু আক্রান্ত অবস্থায় আছে। তবে শীঘ্রই সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারের সহায়তা মেডিকেল টীম পাঠানোর প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।
এদিকে পাহাড়ে হঠাৎ হামের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়া এবং শিশু মৃত্যুর ঘটনায় এরই মধ্য রাঙামাটির জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে ইউওনো কে প্রধান করে ৩ সদস্যের তদন্ত টীম ঘটন করা হয়েছে।
সোমবার সকাল ১১ ঘটিকায় ইপিআই প্রোগ্রাম মেনেজার ডাঃ মাওলা বক্স চৌধুরীর নেতৃত্বে বিশ্ব স্ব্যাস্থ্য সংস্থার (WHO) ডাঃ আরিফুল ইসলাম সহ ঢাকা থেকে ৪ সদস্যের একটি চিকিৎসক দল বাঘাইছড়ি পৌছেছে। চিকিৎসক দলের উপস্থিতে এসময় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক জরুরী সভার আয়োজন করা হয়েছে। এতে জেলা সিভিল সার্জান ডাঃ বিভাশ খিশা, উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা আহসান হাবিব জিতু, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিএসও ডাঃ ইফতেখার আহম্মদ সহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
সভা শেষে ইপিআই পোগ্রাম মেনেজার ডাঃ মাওলা বক্স চৌধুরী বলেন, বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নটি খুবই দূর্গম যেখানে একজন স্বাস্থ্য কর্মীর পায়ে হেটে পৌছাতে ১ দিন লেগে যায়, আমরা সংবাদ পাওয়া মাত্র ৫ টি মেডিকেল পাঠিয়েছি।
দূর্গম বিদায় অসুস্থ্য রোগীকে উপজেলা সদরে আনা সম্ভব হয়ে উঠেনা। এছাড়াও এলাকার লোকজন কিছুটা কুসংস্কারে বিশ্ব্যাসী আমরা চেষ্টা করছি সাজেক অঞ্চল টিকে নিয়ে একটি বৃহৎ কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে। শীঘ্রই সেনাবাহিনীর সহায়তায় হেলিকপ্টারে আরো মেডিকেল টীম পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। মঙ্গলবার সকাল ১০ ঘটিকার মধ্য হেলিকপ্টারে একটি মেডিকেল টীম পৌঁছার কথা রয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের এই সময়ে সাজেকে কলেরা জনিত রোগে ৭ জন নিহত হয়েছিলো।