
রাঙ্গামাটি প্রতিনিধিঃ
রাঙামাটির নানিয়ারচরে জমি নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র পাহাড়ি ও বাঙ্গালীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। মঙ্গলবার বেলা এগারোটার সময় নানিয়ারচর উপজেলাধীর বগাছড়ির ১৭ মাইলের ডেসিন পাড়ায় এই ঘটনা ঘটে। স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে সংগঠিত এই সংঘর্ষের ঘটনায় এক পাহাড়িসহ সর্বমোট ১৪জন আহত হয়েছে বলে জানাগেছে।
আহতদের মধ্যে অন্তত আটজন রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে এবং চারজন ইসমাইল মাঝি, নাছির, বাবু ও আনন্দ মোহন চাকমা বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি আছে বলে জরুরি বিভাগ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন। আহত স্থানীয় বাসিন্দা, খোকন, বাবু, মালেক, সেলিম, সরোয়ার ও মোছাম্মদ ফারজানা বেগম স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে স্থানীয় মেম্বার মালেক জানিয়েছেন।
আহতরা জানায়, মঙ্গলবার সকালে নানিয়ারচর উপজেলাধীন বগাছড়ি ১৭ মাইল এলাকার ডিসেন পাড়ায় স্থানীয় বাঙ্গালী বাসিন্দা হাবিব তার নিজস্ব রেকর্ডীয় জায়গায় বসতঘর নির্মাণ করতে গেলে স্থানীয় আঞ্চলিকদল ইউপিডিএফ সমর্থকরা এসে বসতঘরটি ভাংচুর করে।
এসময় বাধা দিতে গেলে পাহাড়ি-বাঙ্গালী উভয় সম্প্রদায়ের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। নানিয়ারচর সেনাজোন ও নানিয়ারচর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এসময় পাহাড়িদের মার্বেলের গুলতি ও ধারালো দায়ের কোপে উপরোক্ত ব্যক্তিরা আহত হয়।
এদিকে, এই ঘটনার কিছুক্ষণ পরপরই ইউপিডিএফ সমর্থিত ২০/২৫ জনের একদল পাহাড়ি যুবক সংঘর্ষস্থলের পার্শ্ববর্তী ১৭ মাইল ব্রীজ এলাকায় ট্রাকে কাঠ বোঝাইরত অবস্থায় ১৪জন শ্রমিকের উপর হামলা চালায়।
গামছা দিয়ে শ্রমিকদের হাত-পা বেধে তাদের বেদড়ক পেটানো হয়। খবর পেয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে রাঙামাটিতে প্রেরণ করে। এই ঘটনায় ৭জন কাঠ শ্রমিক আহত হয়েছে এবং তাদের মধ্যে তিনজন রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
নানিয়ারচর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ কবীর হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, ঘটনাস্থলের সার্বিক পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। তিনি জানান, উভয় পক্ষকে কাগজপত্র নিয়ে হাজির হতে বলা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত কেউই উক্ত বিরোধীয় জায়গায় যেতে পারবেনা।