
রাঙ্গামাটি জেলার শহরে টিটিসি এলাকায় উম্রাসাউ মারমা(১৯) নামের এক মারমা তরুনীর মৃত্যু হয়েছে। সে রাঙ্গামাটি সরকারি কলেজে বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিলো।
সোমবার রাত আটটার দিকে তার পরিবারে লোকেরা তাকে মুমুর্ষ অবস্থায় রাঙ্গামাটি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক উম্রাসাউ মারমাকে মৃত ঘোষনা করেন।তার মরদেহ রাঙ্গামাটি জেনারেল হাসপাতালে মর্গের রাখা হয়েছে। পরিবারের লোকেরা মরদেহ নিয়ে যেতে চাইলে ময়নাতদন্ত ছাড়া পুলিশের বাধায় নিতে দেওয়া হয়নি। নিহতের গলায় রশির দাগ থাকতে দেখেছেন এক প্রত্যক্ষদর্শী।
কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ মীর জাহেদুল হক রনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানিয়েছন, আমাদের কাছে মেয়েটির মৃত্যুর সঠিক কারন সম্পর্কে সন্দেহের সৃষ্টি হওয়ায় আমরা মরদেহ ময়নাতদন্তের পরে মরদেহ হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
এদিকে রাঙ্গামাটি জেনারেল হাসপাতালে অভিভাবকরা প্রথমে জানিয়েছিলো সে স্ট্রোক করে মৃত্যুবরন করেছে।আরো এক বার বলছে,ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে না পেরে অভিমান করে নিজ বাস ভবনে আত্নহত্যা করেছে।
নিহত উম্রাসাউ মারমা’র বন্ধুদের তার মা জানায়,সন্ধ্যায় তার মেয়ে বাথরুমে মুমুর্ষ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে তাকে উদ্ধার করে রাঙ্গামাটি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করে।
এদিকে রাঙ্গামাটি জেনারেল হাসপাতালে আরএমও ডাঃ শওকত আকবর খান জানান, সন্ধ্যার পরে উম্রাসাউ মারমা (১৯) নামের এক মেয়ে লাশ হাসপাতালে নিয়ে আসেন তার স্বজনরা। বর্তমানে লাশটি মর্গে রাখা হয়েছে। মঙ্গবার দুপুরে নাগাদ তার পোষ্টমটেম শেষে পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।