
গাজীপুর সিটি করপোরেশন এর ৯নং কাউন্সিলর নাসির উদ্দিন মোল্লার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও সাংবাদিককে হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। গত (২৮ ডিসেম্বর) শনিবার কোনাবাড়ী আনসার মার্কেটের সামনে থেকে লাইন ম্যান মোস্তফা নামের এক ব্যাক্তি বিভিন্ন অযুহাতে মালবাহী গাড়ী থেকে অবৈধ ভাবে চাঁদা আদায় করছিলেন। ওই সময় দৃশ্যটি সাংবাদিকের ক্যামেরায় ধরা পড়ে। ইতিপূর্বে আরো কয়েকবার ব্যাটারী চালিত অটো রিক্সা থেকে চাঁদা আদায় ও ব্যাটারী কেটে নেওয়া অভিযোগ উঠে তার বিরুদ্ধে। গাড়ী চালকগণ জানান, চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে গাড়ী কাগজপত্র, ড্রাইভিং লাইসেন্স ও চাবি কেড়ে নিয়ে আটকে রাখেন পরে টাকা দিলে ছেড়ে দেন।

কী কারণে বা কার নির্দেশে এভাবে গাড়ি থেকে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে জানতে চাইলে মোস্তফা জানান, বিগত কয়েক বছর যাবৎ তিনি চাঁদা আদায়ের কাজ করে যাচ্ছেন। পূর্বে হাইওয়ের সাথে কাজ করতেন।মোস্তাফা আরও বলেন, আমি নাসির মেম্বারের (বর্তমান ৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর) লোক, তিনি আমাকে বেতন দেন।
এ বিষয়ে (২৯ ডিসেম্বর) রবিবার কাউন্সিলর নাসির উদ্দীন মোল্লার নিকট মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন মোস্তফা আমার লোক নয় বরং ১৮ কোটি মানুষই আমার লোক। এরপর তিনি সাংবাদিকের সংঙ্গে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে তার ভাষায় বলেন, তুমি সাংবাদিকতা কোথায় থেকে শিখছ, তুমি কত বড় সাংবাদিক হয়েছ আমি দেখে নিব। অপ্রকাশযোগ্য ভাষায় গালি দিয়ে বলেন, কেউ যদি আমার নিকট অভিযোগ করে তাহলে সে বিচার অব্যশই আমাকেই করতে হবে। এছাড়াও ঐ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা-হামলার ভয় দেখান।
এক পর্যায়ে (২৯ ডিসেম্বর) শনিবার রাতে সাংবাদিক সাবের বিল্লাহ সুমন নিজের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে কোনাবাড়ী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
এ বিষয়ে কোনাবাড়ী থানার ওসি এমদাদ হোসেন বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে আইন গত বেবস্তা নেয়া হবে।
প্রসংঙ্গতঃ গত ২০ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখে “গাজীপুর সিটি করপোরেশনের দুই কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলা” শিরোনামে দৈনিক “যোগফল”, “চলমান বার্তা”সহ আরো কয়েকটি গনমাধ্যম ও নিউজ পোর্টালে সংবাদ প্রকাশের পর থেকে ৯ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নাসির উদ্দীন মোল্লা দৈনিক “চলমান বার্তা”র সহ-সম্পাদক সাবের হোসেন সুমনকে প্রাণনাশের হুমকি দেন ও অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করেন। এর আগেও তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরণের হুমকি দেয়ার অভিযোগ রয়েছে।