০৮:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ৮ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

পাষণ্ড স্বামীর কান্ড, সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী কে বিয়ে করে প্রথম স্ত্রীর উপর শারীরিক নির্যাতন!!!

  • Reporter Name
  • প্রকাশের সময় : ০৩:১৭:২০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৮ অগাস্ট ২০১৯
  • 314

খোকসা উপজেলার গোসাইডাঙ্গী গ্রামে মোছাঃ হেনা খাতুনের সাথে আট বছর পূর্বে হান্নান বিশ্বাসের পুত্র সিরাজুল ইসলামের বিয়ে হয়। হেনা খাতুনের ভাষ্য মতে, বিয়ের পর থেকেই তার পরিবারের নিকট যৌতুক দাবি করে আসছে মোঃ সিরাজুল ইসলাম। এর মধ্যে হেনা সিরাজুলের ঘরে জন্ম নেয় একটি পুত্র সন্তান সে সন্তানটি মারা যাওয়ার পর আরেকটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। তাতে সিরাজুল এর পরিবার ক্ষিপ্ত হয় হেনার উপর। তখন সিরাজুল বিদেশ যাওয়ার জন্য হেনার পরিবারের নিকট ২ লাখ টাকা দাবি করে কিন্তু হেনার বাবা না থাকলেও মা ও তার ভাই মিলে এক লাখ টাকা দেয় সিরাজুল কে। সে টাকা নিয়ে সিরাজুল বিদেশ যায। বিদেশ যাবার এক বছর পর ফিরে এসে আবার বিদেশ যাওয়ার জন্য ১ লাখ টাকা দাবি করে কিন্তু গরিব মা ও ভাই এতো টাকা জোগাড় করতে না পেরে ত্রিশ হাজার টাকা দেয় সিরাজুল কে। ত্রিশ হাজার টাকা নেওয়ার পর সে আরো ক্ষিপ্ত হয় হেনার উপর। ফলে বিদেশ যাওয়ার পর থেকে হেনার শ্বাশুড়ি মোছাঃ হালিমা খাতুন, শ্বশুর মোঃ হান্নান বিশ্বাস ও দেবর রেজাউল করিম হেনার উপর অমানুষিক অত্যাচার নির্যাতন করতে থাকে, হেনা মুখ বুজে সহ্য করে স্বামী আসার অপেক্ষায়। কিন্তু বিধিবাম স্বামী সিরাজুল ইসলাম ফিরে আসার পর স্ত্রী ও সন্তানের কোনো খোঁজ খবর তো নেওয়া দুরের কথা পরিবারের সবাই কে নিয়ে মারধর করে হেনাকে, এবং এবং বাড়ি থেকে বেরিয়ে না গেলে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। গতকাল ২৬ আগষ্ট রাতে প্রচন্ডভাবে মারধরের ফলে খোকসা থানা পুলিশের সহযোগিতায় হেনাকে উদ্ধার করে কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ মাসুদ রুমী জানান রোগীর শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন রয়েছে তবে সে শঙ্কামুক্ত।

Tag :

বালিয়াকান্দি মোটরসাইকেল সহ ইয়াবা ব্যবসায়ী গ্রেফতার ৩

You cannot copy content of this page

পাষণ্ড স্বামীর কান্ড, সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী কে বিয়ে করে প্রথম স্ত্রীর উপর শারীরিক নির্যাতন!!!

প্রকাশের সময় : ০৩:১৭:২০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৮ অগাস্ট ২০১৯

খোকসা উপজেলার গোসাইডাঙ্গী গ্রামে মোছাঃ হেনা খাতুনের সাথে আট বছর পূর্বে হান্নান বিশ্বাসের পুত্র সিরাজুল ইসলামের বিয়ে হয়। হেনা খাতুনের ভাষ্য মতে, বিয়ের পর থেকেই তার পরিবারের নিকট যৌতুক দাবি করে আসছে মোঃ সিরাজুল ইসলাম। এর মধ্যে হেনা সিরাজুলের ঘরে জন্ম নেয় একটি পুত্র সন্তান সে সন্তানটি মারা যাওয়ার পর আরেকটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। তাতে সিরাজুল এর পরিবার ক্ষিপ্ত হয় হেনার উপর। তখন সিরাজুল বিদেশ যাওয়ার জন্য হেনার পরিবারের নিকট ২ লাখ টাকা দাবি করে কিন্তু হেনার বাবা না থাকলেও মা ও তার ভাই মিলে এক লাখ টাকা দেয় সিরাজুল কে। সে টাকা নিয়ে সিরাজুল বিদেশ যায। বিদেশ যাবার এক বছর পর ফিরে এসে আবার বিদেশ যাওয়ার জন্য ১ লাখ টাকা দাবি করে কিন্তু গরিব মা ও ভাই এতো টাকা জোগাড় করতে না পেরে ত্রিশ হাজার টাকা দেয় সিরাজুল কে। ত্রিশ হাজার টাকা নেওয়ার পর সে আরো ক্ষিপ্ত হয় হেনার উপর। ফলে বিদেশ যাওয়ার পর থেকে হেনার শ্বাশুড়ি মোছাঃ হালিমা খাতুন, শ্বশুর মোঃ হান্নান বিশ্বাস ও দেবর রেজাউল করিম হেনার উপর অমানুষিক অত্যাচার নির্যাতন করতে থাকে, হেনা মুখ বুজে সহ্য করে স্বামী আসার অপেক্ষায়। কিন্তু বিধিবাম স্বামী সিরাজুল ইসলাম ফিরে আসার পর স্ত্রী ও সন্তানের কোনো খোঁজ খবর তো নেওয়া দুরের কথা পরিবারের সবাই কে নিয়ে মারধর করে হেনাকে, এবং এবং বাড়ি থেকে বেরিয়ে না গেলে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। গতকাল ২৬ আগষ্ট রাতে প্রচন্ডভাবে মারধরের ফলে খোকসা থানা পুলিশের সহযোগিতায় হেনাকে উদ্ধার করে কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ মাসুদ রুমী জানান রোগীর শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন রয়েছে তবে সে শঙ্কামুক্ত।