
করোনা প্রতিরোধে বাংলাদেশে চলছে সরকারি ছুটি। বিশ্বব্যাপী দিন দিন জ্যামিতিক হারে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা, মৃত্যুর সংখ্যা। বিভিন্ন দেশে চলছে কারফিউ চলছে লকডাউন। বলা হচ্ছে কোয়ারেন্টাইন হলো এই ভাইরাস থেকে বাচার একমাত্র ভরসা। মানুষকে সচেতন করে হোমকোয়ারেন্টাইনে থাকার জন্য নেয়া হচ্ছে বিভিন্ন পদক্ষেপ। বাংলাদেশ সরকার গত ২৬ মার্চ থেকে ৪ঠা এপ্রিল সরকারি ছুটি ঘোষনা করলেও সেই ছুটি বৃদ্ধি করে দেয়া হয়েছে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত। ছুটি ঘোষনা করা হয়েছে মুলতঃ সাবাইকে হোমকোয়ারেন্টাইনে থাকার জন্য। অথচ এই ছুটি পেয়ে সবাই ঈদের চেয়ে বেশী খুশি হয়েছে মানছে না সরকারি নির্দেশনা। বিভিন্ন এলাকায় চলছে বিয়ের আয়োজনসহ নানা ধরনের সামাজিক অনুষ্ঠান। থেমে নেই চায়ের দোকানের আড্ডা। নড়াইলের মন্ডলভাগ বাজারে বাড়ছে ছুটি কাটাতে আসা মানুষের ভিড়। এই বাজার এতোটাই জমজমাট যে ঈদের সময়ও এতো লোকের আড্ডা চোখে পড়েনা। লোহাগড়া থানা থেকে এলাকাটার দুরত্ব বেশী হওয়ায় আইন শৃঙ্খলা বাহিনীও সবসময় নজর দিতে পারছে না। আজ বুধবার সন্ধ্যার সময় দুজন এসআই মন্ডলভাগ বাজারে হর্ন বাজিয়ে প্রবেশ করতেই দেখা যাই সব দোকানদার গুলো সাটার বন্ধ করে দৌড়িয়ে পালায় আবার অনেকে সময়ের অভাবে সাটার বন্ধ করে লাইট অফ করে দোকানের ভিতরই থেকে যাই। বাজারে ঘুরতে বা আড্ডা দিতে আসা লোকগুলোকে দেখা যায় বাগানসহ বিভিন্ন দিকে দৌড়িয়ে পালাতে। তালা ছাড়া সাটার বন্ধ দেখে পুলিশ সন্দেহজনক ভাবে কয়েকটি দোকানে সাটার খুলতে বললে দেখা যাই দোকানের ভিতর লোক রয়েছে। এ প্রসঙ্গে এসআই তপনের সাথে কথা হয় দৈনিক প্রতিদিনের অপরাধের প্রতিবেদক আব্দুল কাদের খানেঁর সাথে তিনি জানান এটা কেমন কথা যে আমরা আসলে দোকান বন্ধ করে পালাবে আবার চলে গেলে খুলবে। আমরা কি আমাদের সেফটির জন্য আসছি? আমরা তো তাদের বা এই এলাকার ভালোর জন্য আসছি। বার বার অতো দুর থেকে কি আসা সম্ভব? থানায় শুধু এই বাজারের নামেই প্রতিদিন অভিযোগ আসে। আর এসেই তো সব দেখতে পাচ্ছি। বাজারটিতে সন্ধ্যার পর পুলিশ চলে যাওয়ার পর আবার আগের পরিবেশই ফিরে এসছে মনে হচ্ছে মন্ডলভাগ বাজার নতুন যৌবনে পা দিয়েছে।