০৫:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ৩০ ভাদ্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

চাঁপড়া ইউনিয়নের সাঁওতা ঢেঁকিপাড়া এলাকায় গড়াই নদীতে চলছে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন

  • Reporter Name
  • প্রকাশের সময় : ০১:০১:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ জানুয়ারী ২০১৯
  • 268

নিজস্ব প্রতিবেদক : কুষ্টিয়ার কুমারখালী চাপড়া ইউনিয়নের গড়াই নদীর উপর নির্মিত মীর মোশারফ হোসেন ব্রিজের (গড়াই ব্রিজ) পুর্ব প্রান্তের দক্ষিণ পাশে পিলারের আশপাশ এলাকা থেকে অবৈধ ভাবে বালি উত্তোলন করছে সাইদুল ইসলাম সাবদুল ৬নং চাঁপড়া ইউনিয়ন পরিষদে ২০০৩ থেকে ২০১১সাল পর্যন্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন।

অভিযোগ উঠেছে, কুমারখালী উপজেলার সাঁওতা ঢেঁকিপাড়া গ্রামের হেকমত আলী মন্ডলের ছেলে স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ী মোশাররফ হোসেন, মোজাম মন্ডল, একই গ্রামের আপ্তার শেখের ছেলে বাদশা, আজিতের ছেলে রফিকুল এলাকার চিহ্নিত একদল মাদক ব্যবসায়ী। সাবেক চেয়ারম্যান সাইদুল ইসলাম সাবদুল এই চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীদের আশ্রয় প্রশ্রয় দিয়ে কুমারখালী উপজেলার হাবাসপুর মৌজার গড়াই নদী থেকে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন করছেন। এতে হুমকীর মুখে পড়েছে আশেপাশের কৃষি জমি। সরেজমিনে গিয়ে অভিযোগের সত্যতাও মিলেছে।

সবকিছু প্রকাশ্যে ঘটলেও অজানা কারনে নজরে আসছে না স্থানীয় প্রশাসনের। এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, উক্ত এলাকায় দির্ঘদিন যাবৎ এই চক্রটি লোকজন দিয়ে বালি উত্তোলন করে ট্রাক ও ট্রলিতে করে বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করে আসছে। এই বালি ব্যবসা থেকে প্রাপ্ত অর্থ দিয়ে বিভিন্ন মহলকে ম্যানেজ করে বহাল তবিয়তে এখান থেকে বালি উত্তোলনের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে বলেও এলাকাবাসীর অভিযোগ।

সুত্র জানায়, নদী থেকে বালি উত্তোলনের কোন বৈধ কাগজ-পত্র এই ঘাটের নেই। পাশেই মীর মশাররফ হোসেন সেতুর উত্তর পাশ থেকে বালি উত্তোলনের অনুমতি আছে দাবি করে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এখানে কর্মরত এক ব্যক্তি জানান এই ঘাটের অনুমোদনের ক্ষমতাবলেই পাশের ঐ ঘাট থেকে বালি উত্তোলন করা হয়। যদিও মীর মোশারফ হোসেন ব্রিজের (গড়াই ব্রিজ) পুর্ব প্রান্তের দক্ষিণ পাশে পিলারের আশপাশ এলাকা থেকে অবৈধ ভাবে বালি উত্তোলনের কোন কাগজপত্র তারা দেখাতে পারেনি। ঐ ব্যক্তি স্বীকার করে বলেন, ব্রীজ ঘাটের অনুমোদন থাকলেও পাশের ঐ ঘাট থেকে বালি উত্তোলনের কোন অনুমতি নেই। আসলে বাস্তবতা হচ্ছে হাইকোর্টের এক কাগজের জোরে কুষ্টিয়া জেলার সকল বালি মহল থেকে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ ঘনফুট বালি কোন নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না প্রতিদিন উত্তোলন করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য নদীর উপর নির্মিত ব্রিজের ১কিঃমিঃ এর দুরত্বের মধ্যে কোন বালু মহাল না থাকার কথা থাকলেও মীর মোশারফ হোসেন ব্রিজের (গড়াই ব্রিজ) পিলারের আশপাশ এলাকা থেকে অবৈধ ভাবে বালি উত্তোলন করে যাচ্ছে চক্রটি। স্থানিয় বাসিন্দারা আরো অভিযোগ করে বলেন, ব্রিজের এতো কাছে বালি উত্তোলনের ফলে গড়াই নদীর ভরা মৌসুমে উক্ত এলাকায় নদী ভাঙ্গনের ঝুকি বেড়ে যায়,সেই সাথে উক্ত স্থানে অবস্থিত দুটি ব্রিজ ও হুমকির মুখে থাকে।

Tag :

এডিসির পর সানজিদার বদলির খবরটি গুজব

চাঁপড়া ইউনিয়নের সাঁওতা ঢেঁকিপাড়া এলাকায় গড়াই নদীতে চলছে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন

প্রকাশের সময় : ০১:০১:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ জানুয়ারী ২০১৯

নিজস্ব প্রতিবেদক : কুষ্টিয়ার কুমারখালী চাপড়া ইউনিয়নের গড়াই নদীর উপর নির্মিত মীর মোশারফ হোসেন ব্রিজের (গড়াই ব্রিজ) পুর্ব প্রান্তের দক্ষিণ পাশে পিলারের আশপাশ এলাকা থেকে অবৈধ ভাবে বালি উত্তোলন করছে সাইদুল ইসলাম সাবদুল ৬নং চাঁপড়া ইউনিয়ন পরিষদে ২০০৩ থেকে ২০১১সাল পর্যন্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন।

অভিযোগ উঠেছে, কুমারখালী উপজেলার সাঁওতা ঢেঁকিপাড়া গ্রামের হেকমত আলী মন্ডলের ছেলে স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ী মোশাররফ হোসেন, মোজাম মন্ডল, একই গ্রামের আপ্তার শেখের ছেলে বাদশা, আজিতের ছেলে রফিকুল এলাকার চিহ্নিত একদল মাদক ব্যবসায়ী। সাবেক চেয়ারম্যান সাইদুল ইসলাম সাবদুল এই চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীদের আশ্রয় প্রশ্রয় দিয়ে কুমারখালী উপজেলার হাবাসপুর মৌজার গড়াই নদী থেকে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন করছেন। এতে হুমকীর মুখে পড়েছে আশেপাশের কৃষি জমি। সরেজমিনে গিয়ে অভিযোগের সত্যতাও মিলেছে।

সবকিছু প্রকাশ্যে ঘটলেও অজানা কারনে নজরে আসছে না স্থানীয় প্রশাসনের। এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, উক্ত এলাকায় দির্ঘদিন যাবৎ এই চক্রটি লোকজন দিয়ে বালি উত্তোলন করে ট্রাক ও ট্রলিতে করে বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করে আসছে। এই বালি ব্যবসা থেকে প্রাপ্ত অর্থ দিয়ে বিভিন্ন মহলকে ম্যানেজ করে বহাল তবিয়তে এখান থেকে বালি উত্তোলনের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে বলেও এলাকাবাসীর অভিযোগ।

সুত্র জানায়, নদী থেকে বালি উত্তোলনের কোন বৈধ কাগজ-পত্র এই ঘাটের নেই। পাশেই মীর মশাররফ হোসেন সেতুর উত্তর পাশ থেকে বালি উত্তোলনের অনুমতি আছে দাবি করে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এখানে কর্মরত এক ব্যক্তি জানান এই ঘাটের অনুমোদনের ক্ষমতাবলেই পাশের ঐ ঘাট থেকে বালি উত্তোলন করা হয়। যদিও মীর মোশারফ হোসেন ব্রিজের (গড়াই ব্রিজ) পুর্ব প্রান্তের দক্ষিণ পাশে পিলারের আশপাশ এলাকা থেকে অবৈধ ভাবে বালি উত্তোলনের কোন কাগজপত্র তারা দেখাতে পারেনি। ঐ ব্যক্তি স্বীকার করে বলেন, ব্রীজ ঘাটের অনুমোদন থাকলেও পাশের ঐ ঘাট থেকে বালি উত্তোলনের কোন অনুমতি নেই। আসলে বাস্তবতা হচ্ছে হাইকোর্টের এক কাগজের জোরে কুষ্টিয়া জেলার সকল বালি মহল থেকে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ ঘনফুট বালি কোন নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না প্রতিদিন উত্তোলন করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য নদীর উপর নির্মিত ব্রিজের ১কিঃমিঃ এর দুরত্বের মধ্যে কোন বালু মহাল না থাকার কথা থাকলেও মীর মোশারফ হোসেন ব্রিজের (গড়াই ব্রিজ) পিলারের আশপাশ এলাকা থেকে অবৈধ ভাবে বালি উত্তোলন করে যাচ্ছে চক্রটি। স্থানিয় বাসিন্দারা আরো অভিযোগ করে বলেন, ব্রিজের এতো কাছে বালি উত্তোলনের ফলে গড়াই নদীর ভরা মৌসুমে উক্ত এলাকায় নদী ভাঙ্গনের ঝুকি বেড়ে যায়,সেই সাথে উক্ত স্থানে অবস্থিত দুটি ব্রিজ ও হুমকির মুখে থাকে।