০৭:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ৩০ ভাদ্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

খাগড়াছড়িতে বৌদ্ধ শিক্ষক দশম শ্রেণীর ছাত্রীকে বুকে পেটে লাতি মেরে অজ্ঞান করার অভিযোগ।

  • Reporter Name
  • প্রকাশের সময় : ০৫:৫৯:১০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২০
  • 262

খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ওই শিক্ষার্থী শ্রেণিকক্ষেই জ্ঞান হারিয়ে ফেলে।

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) পার্বত্য খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গার সীমান্তঘেঁষা তাইন্দং উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। এদিকে ঘটনা জানাজানি হলে অভিভাবক মহলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বিদ্যালয়ে চতুর্থ পিরিয়ডে দশম শ্রেণিতে পাঠদানকালে বৌদ্ধধর্মীয় শিক্ষক নন্দপাল চাকমা কোনো কারণ ছাড়াই টেবিলের ওপর উঠে এক ছাত্রীর বুকে ও পেটে লাথি মারেন। এ সময় তিনি বলেন, চাকরি গেলে যাবে তোকে আজ মেরেই ফেলব।

সহপাঠী শিক্ষার্থীদের চিৎকারে পাশের শ্রেণিকক্ষ থেকে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ছুটে আসেন এবং ওই শিক্ষকের হাত থেকে আক্রান্ত শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে বিদ্যালয়ের পাশে একটি বাড়িতে নিয়ে যান। পরে তাইন্দং বাজারে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।

ঘটনার সময় তাইন্দং উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. রেজাউল করিমের বিভিন্ন অনিয়মের বিরুদ্ধে মাটিরাঙ্গা উপজেলা মৎস্য অফিসার মো. আরিফুর রহমান তদন্ত করছিলেন বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে তাইন্দং উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. রেজাউল করিম বলেন, প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ওই ছাত্রী তার বাড়িতে আছে। এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সিনিয়র শিক্ষক মো. নুর নবীকে প্রধান করে চার সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। তিন কার্যদিবসের মধ্যে কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।

এদিকে অভিযুক্ত শিক্ষক নন্দপাল চাকমার মুঠোফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তাইন্দং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এমন ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত। বিদ্যালয়টি অভিভাবকহীন হওয়ার কারণেই এমন ঘটনা ঘটেছে।

তিনি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্ত শিক্ষককে আইনের আওতায় আনারও দাবি জানান।

এ ধরনের ঘটনা অনৈতিক ও অপ্রত্যাশিত মন্তব্য করে মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিভীষণ কান্তি দাশ বলেন, তদন্ত করে রিপোর্ট দেয়ার জন্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে বলা হয়েছে। রিপোর্টের ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Tag :

মৌলভীবাজারে যৌতুকের দাবিতে গৃহবধূকে নির্যাতন ! প্রশাসনের নিরব ভূমিকা

খাগড়াছড়িতে বৌদ্ধ শিক্ষক দশম শ্রেণীর ছাত্রীকে বুকে পেটে লাতি মেরে অজ্ঞান করার অভিযোগ।

প্রকাশের সময় : ০৫:৫৯:১০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২০

খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ওই শিক্ষার্থী শ্রেণিকক্ষেই জ্ঞান হারিয়ে ফেলে।

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) পার্বত্য খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গার সীমান্তঘেঁষা তাইন্দং উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। এদিকে ঘটনা জানাজানি হলে অভিভাবক মহলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বিদ্যালয়ে চতুর্থ পিরিয়ডে দশম শ্রেণিতে পাঠদানকালে বৌদ্ধধর্মীয় শিক্ষক নন্দপাল চাকমা কোনো কারণ ছাড়াই টেবিলের ওপর উঠে এক ছাত্রীর বুকে ও পেটে লাথি মারেন। এ সময় তিনি বলেন, চাকরি গেলে যাবে তোকে আজ মেরেই ফেলব।

সহপাঠী শিক্ষার্থীদের চিৎকারে পাশের শ্রেণিকক্ষ থেকে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ছুটে আসেন এবং ওই শিক্ষকের হাত থেকে আক্রান্ত শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে বিদ্যালয়ের পাশে একটি বাড়িতে নিয়ে যান। পরে তাইন্দং বাজারে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।

ঘটনার সময় তাইন্দং উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. রেজাউল করিমের বিভিন্ন অনিয়মের বিরুদ্ধে মাটিরাঙ্গা উপজেলা মৎস্য অফিসার মো. আরিফুর রহমান তদন্ত করছিলেন বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে তাইন্দং উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. রেজাউল করিম বলেন, প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ওই ছাত্রী তার বাড়িতে আছে। এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সিনিয়র শিক্ষক মো. নুর নবীকে প্রধান করে চার সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। তিন কার্যদিবসের মধ্যে কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।

এদিকে অভিযুক্ত শিক্ষক নন্দপাল চাকমার মুঠোফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তাইন্দং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এমন ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত। বিদ্যালয়টি অভিভাবকহীন হওয়ার কারণেই এমন ঘটনা ঘটেছে।

তিনি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্ত শিক্ষককে আইনের আওতায় আনারও দাবি জানান।

এ ধরনের ঘটনা অনৈতিক ও অপ্রত্যাশিত মন্তব্য করে মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিভীষণ কান্তি দাশ বলেন, তদন্ত করে রিপোর্ট দেয়ার জন্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে বলা হয়েছে। রিপোর্টের ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।