০৮:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ৮ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

কুষ্টিয়ায় সিনামিন ও ট্যাপেন্টা ট্যাবলেটসহ আটক ৩

  • Reporter Name
  • প্রকাশের সময় : ০২:৩৭:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ জানুয়ারী ২০১৯
  • 451

কুষ্টিয়া পুলিশ সুপার এসএম তানভীর আরাফাতের নির্দেশে কুষ্টিয়া মডেল থানার ওসি নাসির উদ্দিন গতকাল রাতে কুষ্টিয়ার ঔষধ ফার্মেসীগুলোতে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেন। কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশের অভিযানে হাসপাতাল মোড় ঔষধ ফার্মেসী থেকে সিনামিন সিরাপ ও ট্যাপেন্টা ট্যাবলেটসহ ৩জনকে আটক করে। সম্প্রতি সময়ে কুষ্টিয়া পুলিশের মাদকের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থানের কারনে কুষ্টিয়া সহ পাশ্ববর্তী অঞ্চলে মাদক প্রায় নিমূলের পথে। ফলে মাদকসেবীরা মাদকের পরিবর্তে চেতনানাশক ঔষধের দিকে ঝুকে পরেছে। কুষ্টিয়ায় মাদক নেশায় যোগ হয়েছে চেতনানাশক ট্যাবলেট, প্রেসক্রিপশন ছাড়া মিলছে ঘুমের ঔষধ। কুষ্টিয়া শহর সহ গ্রামের অলিতে গলিতে ফার্মেসী গুলোতে চলছে প্রেসক্রিপশন ছাড়া ঘুমের ঔষধ বিক্রির রমরমা ব্যবসা। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ঔষধ বিক্রির অন্তরালে নেশাজাতীয় ইনজেকশন ও ঘুমের ট্যাবলেট বিক্রয় করছে অধিক মুনাফা লাভের আশায়। ইয়াবা, হেরোইন, ফেনসিডিল, গাঁজার পাশাপাশি এবার নেশার রাজ্যে যুক্ত হয়েছে ঘুমের ট্যাবলেট। বিভিন্ন ধরণের ঘুমের ট্যাবলেট মাদক সেবীদের কাছে দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে নেশার ক্ষেত্রে। আইন শৃঙ্খলাবাহিনী মাদকের বিরুদ্ধে জিরো ট্রলারেন্স ঘোষনার পর থেকে মাদক সেবীরা মাদকের বিকল্প হিসেবে ঝুঁকে পড়েছে বিভিন্ন কোম্পানীর ঘুমের ট্যাবলেটের উপরে। হাত বাড়ালেই ঔষুধের ফার্মেসী গুলোতে অনায়াসে মিলছে ঘুমের ট্যাবলেট। কুষ্টিয়া সহ কুষ্টিয়ার পাশ্ববর্তী অঞ্চলে লাইসেন্সবিহীন এবং লাইসেন্সধারী ফার্মেসীতে বিক্রি হচ্ছে ঘুমের ট্যাবলেট। সরকারী নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে দেশের নামী দামী বিভিন্ন কোম্পানীর ঘুমের ট্যাবলেট বিক্রয় করছে ফার্মেসীগুলো। যদিও সরকারি নীতিমালায় ঘুমের ঔষধ বিক্রির ক্ষেত্রে, ডাক্তারের ব্যবস্থাপত্র প্রয়োজন। কিন্তু কুষ্টিয়ার ফার্মেসী গুলোতে ঘুমের ঔষধ বিক্রি হচ্ছে ডা. এর ব্যবস্থাপত্র ছাড়াই। যার ফলে মাদকসেবীরা খুব সহজেই মাদকের পরিবর্তে ঘুমের ট্যাবলেটকে নতুন মাদকরুপে সেবন করছে। ঘুমের ট্যাবলেটের মধ্যে রয়েছে সিরামিন সিরাপ ইবনেসিনা কোম্পানী, স্কয়ার লাইজন এএমজি, সেডিল ২০ পিস ৫এমজি, ট্রাইপট্রিন ১০/২৫এমপি, ডরমিটল ৭.৫/১৫ এমজি, রেডিএন্ট কোম্পানীর এবং ল্যাগজুটেনিল ৩এমজি, অরিউন কোম্পানীর গোফাম ৩ এমজি, সেনডোজ কোম্পানীর এক্সিউনিল ৩এমজি, অপসোনিন কোম্পানীর ইজিয়াম ৫এমজি পেইস ২এমজি, ইনসেপটা কোম্পানীর হাইফনোফাস্ট ১৫এমজি, ডিসোপান ২এমজি, ক্লোসান ২এমজি, এসকেএফ কোম্পানীর মিলাম ১৫এমজি। এগুলো এখন উঠতি বয়স্ক তরুন-তরুনীদের মাঝে আকর্ষনীয় আসক্তির বস্তু হয়ে দাড়িয়েছে।
রাত বাড়ার সাথে সাথে কুষ্টিয়ার ফার্মেসীগুলোর সামনে উঠতি বয়স্ক তরুনদের আনাগোনা বাড়তে থাকে। এইসব ঘুমের ঔষধ গুরুতর অসুস্থ্য, দুর্ঘটনার আহত ও দুশ্চিন্তাগ্রস্থ লোকজনের ঘুমের জন্য ডাক্তারের পরামর্শে ব্যবহার করা হয়। এইসব ঔষধ ডাক্তারের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া বিক্রি নিষিদ্ধ হলেও অতি মুনাফার আশায় বিক্রি করছে কিছু অসাধু ঔষধ ব্যবসায়ীরা। আর সুযোগ নিচ্ছে মাদকসেবীরা। বিপথগামী স্কুল পড়ুয়া ছাত্র থেকে শুরু করে কলেজ পড়ুয়া তরুণ সমাজ আজ ধ্বংসের মুখে পতিত হচ্ছে মাদকরুপী ঘুমের ঔষধের কারনে। প্রেসক্রিপশন ছাড়া ফার্মেসি গুলোতে এমন অবাধ উত্তেজক ট্যাবলেট ও সিরাপ বিক্রি হওয়ায় সচেতন মহল ও অভিভাবকদের মাঝে চাপা
ক্ষোভ বিরাজ করছে।

Tag :

বালিয়াকান্দি মোটরসাইকেল সহ ইয়াবা ব্যবসায়ী গ্রেফতার ৩

You cannot copy content of this page

কুষ্টিয়ায় সিনামিন ও ট্যাপেন্টা ট্যাবলেটসহ আটক ৩

প্রকাশের সময় : ০২:৩৭:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ জানুয়ারী ২০১৯

কুষ্টিয়া পুলিশ সুপার এসএম তানভীর আরাফাতের নির্দেশে কুষ্টিয়া মডেল থানার ওসি নাসির উদ্দিন গতকাল রাতে কুষ্টিয়ার ঔষধ ফার্মেসীগুলোতে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেন। কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশের অভিযানে হাসপাতাল মোড় ঔষধ ফার্মেসী থেকে সিনামিন সিরাপ ও ট্যাপেন্টা ট্যাবলেটসহ ৩জনকে আটক করে। সম্প্রতি সময়ে কুষ্টিয়া পুলিশের মাদকের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থানের কারনে কুষ্টিয়া সহ পাশ্ববর্তী অঞ্চলে মাদক প্রায় নিমূলের পথে। ফলে মাদকসেবীরা মাদকের পরিবর্তে চেতনানাশক ঔষধের দিকে ঝুকে পরেছে। কুষ্টিয়ায় মাদক নেশায় যোগ হয়েছে চেতনানাশক ট্যাবলেট, প্রেসক্রিপশন ছাড়া মিলছে ঘুমের ঔষধ। কুষ্টিয়া শহর সহ গ্রামের অলিতে গলিতে ফার্মেসী গুলোতে চলছে প্রেসক্রিপশন ছাড়া ঘুমের ঔষধ বিক্রির রমরমা ব্যবসা। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ঔষধ বিক্রির অন্তরালে নেশাজাতীয় ইনজেকশন ও ঘুমের ট্যাবলেট বিক্রয় করছে অধিক মুনাফা লাভের আশায়। ইয়াবা, হেরোইন, ফেনসিডিল, গাঁজার পাশাপাশি এবার নেশার রাজ্যে যুক্ত হয়েছে ঘুমের ট্যাবলেট। বিভিন্ন ধরণের ঘুমের ট্যাবলেট মাদক সেবীদের কাছে দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে নেশার ক্ষেত্রে। আইন শৃঙ্খলাবাহিনী মাদকের বিরুদ্ধে জিরো ট্রলারেন্স ঘোষনার পর থেকে মাদক সেবীরা মাদকের বিকল্প হিসেবে ঝুঁকে পড়েছে বিভিন্ন কোম্পানীর ঘুমের ট্যাবলেটের উপরে। হাত বাড়ালেই ঔষুধের ফার্মেসী গুলোতে অনায়াসে মিলছে ঘুমের ট্যাবলেট। কুষ্টিয়া সহ কুষ্টিয়ার পাশ্ববর্তী অঞ্চলে লাইসেন্সবিহীন এবং লাইসেন্সধারী ফার্মেসীতে বিক্রি হচ্ছে ঘুমের ট্যাবলেট। সরকারী নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে দেশের নামী দামী বিভিন্ন কোম্পানীর ঘুমের ট্যাবলেট বিক্রয় করছে ফার্মেসীগুলো। যদিও সরকারি নীতিমালায় ঘুমের ঔষধ বিক্রির ক্ষেত্রে, ডাক্তারের ব্যবস্থাপত্র প্রয়োজন। কিন্তু কুষ্টিয়ার ফার্মেসী গুলোতে ঘুমের ঔষধ বিক্রি হচ্ছে ডা. এর ব্যবস্থাপত্র ছাড়াই। যার ফলে মাদকসেবীরা খুব সহজেই মাদকের পরিবর্তে ঘুমের ট্যাবলেটকে নতুন মাদকরুপে সেবন করছে। ঘুমের ট্যাবলেটের মধ্যে রয়েছে সিরামিন সিরাপ ইবনেসিনা কোম্পানী, স্কয়ার লাইজন এএমজি, সেডিল ২০ পিস ৫এমজি, ট্রাইপট্রিন ১০/২৫এমপি, ডরমিটল ৭.৫/১৫ এমজি, রেডিএন্ট কোম্পানীর এবং ল্যাগজুটেনিল ৩এমজি, অরিউন কোম্পানীর গোফাম ৩ এমজি, সেনডোজ কোম্পানীর এক্সিউনিল ৩এমজি, অপসোনিন কোম্পানীর ইজিয়াম ৫এমজি পেইস ২এমজি, ইনসেপটা কোম্পানীর হাইফনোফাস্ট ১৫এমজি, ডিসোপান ২এমজি, ক্লোসান ২এমজি, এসকেএফ কোম্পানীর মিলাম ১৫এমজি। এগুলো এখন উঠতি বয়স্ক তরুন-তরুনীদের মাঝে আকর্ষনীয় আসক্তির বস্তু হয়ে দাড়িয়েছে।
রাত বাড়ার সাথে সাথে কুষ্টিয়ার ফার্মেসীগুলোর সামনে উঠতি বয়স্ক তরুনদের আনাগোনা বাড়তে থাকে। এইসব ঘুমের ঔষধ গুরুতর অসুস্থ্য, দুর্ঘটনার আহত ও দুশ্চিন্তাগ্রস্থ লোকজনের ঘুমের জন্য ডাক্তারের পরামর্শে ব্যবহার করা হয়। এইসব ঔষধ ডাক্তারের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া বিক্রি নিষিদ্ধ হলেও অতি মুনাফার আশায় বিক্রি করছে কিছু অসাধু ঔষধ ব্যবসায়ীরা। আর সুযোগ নিচ্ছে মাদকসেবীরা। বিপথগামী স্কুল পড়ুয়া ছাত্র থেকে শুরু করে কলেজ পড়ুয়া তরুণ সমাজ আজ ধ্বংসের মুখে পতিত হচ্ছে মাদকরুপী ঘুমের ঔষধের কারনে। প্রেসক্রিপশন ছাড়া ফার্মেসি গুলোতে এমন অবাধ উত্তেজক ট্যাবলেট ও সিরাপ বিক্রি হওয়ায় সচেতন মহল ও অভিভাবকদের মাঝে চাপা
ক্ষোভ বিরাজ করছে।