
আজ মঙ্গলবার (৭ জুলাই) সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে পদ্মা নদী সংলগ্ন সাদিপুর ইউনিয়নের ঘোষপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এলাকায় এঘটনা ঘটেছে ।
নিখোঁজ ব্যক্তিরা হলেন,
কুষ্টিয়া জেলার ভেড়ামারা উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের জামালপুর গ্রামের
হারান শেখের ছেলে জুয়েল (৩০), নজু’র ছেলে জাকির (২৮), জলিলের ছেলে শরিফুল (৩১) ও রঞ্জিতের ছেলে জুবায়েল (২৫)।
উদ্ধারকৃত ব্যক্তিরা হলেন, একই এলাকার তুকা প্রামাণিকের ছেলে জহির(৩৩), কটার ছেলে বিপুল(৩০), আমজেরের ছেলে বকুল (৪০), শাহজামালের ছেলে সাজু (৩৫), ফজলের ছেলে তদে (৩২), আগার ছেলে সুলতান(৩০), মানিকের ছেলে মুনসুর (৩২), খবিরের ছেলে জামিন (৩০) ও শামিমের ছেলে রিফাত (১৫)। এদের সবাই পেশায় দিনমজুর।
জানা যায়, ভেড়ামারা উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের জামালপুর থেকে ইঞ্জিল চালিত করিমনে কুমারখালীর ঘোষপুর এসে দুইটি ডোঙা নৌকায় পদ্মা নদী পাড় হয়ে উলু ঘাস কাঁটাতে চরে যাচ্ছিল ১৩ জন দিনমজুর। একটি নৌকায় ছিল ৯ জন ও অপর নৌকায় ৪ জন।
পরে পাবনা জেলার সীমানা সংলগ্ন উক্ত এলাকায় নদীতে পানির প্রবল স্রোত ও প্রতিকুল আবহাওয়ায় নৌকা দুটি ডুবে যায়। এরপর ৯ জন সাঁতারে নদীর তীরে উঠতে সক্ষম হলেও বাকি ৪জন প্রবল সোতে ভেসে যান এবং নিখোঁজ হন।
খবর পেয়ে পাবনা , কুষ্টিয়া ও কুমারখালীর ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কাজ শুরু করে। এদিকে নিখোঁজদের উদ্ধারে রাজশাহীর ডুবুরীদলকে খবর দেওয়া হয়েছে।
কুষ্টিয়া ফায়ার স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আলী সাজ্জাদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, উদ্ধার তৎপরতা চলছে। খুলনা থেকে ডুবুরী দল পৌঁছানোর পর সমন্বিতভাবে জোর উদ্ধার কাজ শুরু হবে।
কুমারখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজিবুল ইসলাম খান জানান, নিখাঁজদের উদ্ধারের বিষয়টি অতি গুরুত্বের সাথে দেখা হচ্ছে। কুমারখালী ও পাবনার ফায়ার সার্ভিস টিমসহ রাজশাহীর ডুবুরি দল এসে উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে বলে তিনি জানান।
এ নৌকাডুবির ঘটনায় ভেড়ামারার বাহাদুর পুর ইউনিয়নের জামালপুর গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।