
বাংলাদেশে শীতের তিব্রতা বৃদ্ধির সাথে সাথে জনজীবন স্থবীর হয়ে পড়েছে। একান্ত প্রয়োজন ছাড়া অনেকেই ঘর থেকে বের হচ্ছেননা। সারাদেশের ন্যায় কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে শীতের তীব্রতা বিরাজ করেছে। ঘনকুয়াশার কারণে সারাদিন সূর্যের দেখা মেলিনি । সেইসাথে বয়ে চলেছে আদ্র হিমেল হাওয়া। কনকনে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধির সাথে সাথে দরিদ্র ও নিম্নআয়ের মানুষগুলোর দূর্ভোগও বেড়েছে কয়েকগুণ । বয়োজৌষ্ঠ অনেকেই বলছেন বছরের এ সময়ে সাধারণত শীতের এমন তিব্রতা পরিলক্ষিত হয়না। নিজেদের ভোগান্তির পাশাপাশি গবাদি পশু নিয়ে বাড়তি দুঃচিন্তায় পড়েছেন গ্রাম গঞ্জের সাধারণ কৃষক । অপরদিকে প্রচন্ড ঠান্ডা জনিত কারনে শিশু ও বয়োবৃদ্ধরা আক্রান্ত হচ্ছেন শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া সহ নানা রোগে । এদিকে গ্রামগঞ্জে তীব্র শীতের সাথে যুদ্ধ করে জীবন ধারন করতে দরিদ্র শ্রেণীর অনেকেই খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারনের চেষ্টা করছেন । প্রচন্ড শীত থেকে রক্ষা করতে গবাদি পশুগুলোকে ঢেকে রাখা হচ্ছে চটের ছালা দিয়ে। অনেক বেলা অবদি হেডলাইট জ্বালিয়ে মহাসড়কে চলছে যানবাহন । উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে বয়োবৃদ্ধ ও শিশু শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হওয়ার। তীব্র শীতে মটর সাইকেল আরোহীরা ড্রাইভ করাকালীন সময়ে হাত পা জমে গিয়ে অনেকেই সড়ক দুর্ঘটনা শিকার হচ্ছেন। এবিষয়ে কুমারখালী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ জানান, শনিবার জেলার তাপমাত্রা ১২ দশমিক শূণ্য দুই ডিগ্রী যা গতকালের চেয়ে এক দশমিক ডিগ্রী বেশি।তিনি আরো জানান,আগামী ৭২ ঘন্টার মধ্যে তাপমাত্রা আরো বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।