
উপজেলার নন্দলালপুর ইউনিয়নের চকরঘুয়া দক্ষিনপাড়া গ্রামের মৃত হারেজ আলীর ছেলে ফজলুল হকের বিরুদ্ধে একাধিক ব্যাক্তিকে জমি সংক্রান্ত মামলা দিয়ে হয়রানী করার অভিযোগ উঠেছে। একাধিক ভুক্তভোগীদের মধ্যে নন্দলালপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক আব্দুর রহমান তপন জানান বাঁশআড়া মৌজার আর এস ১৬৫৬ নং দাগের জমি ফজলুল হকের পিতা টাকা নিয়ে রেজিস্ট্রি করে দেবার পূর্বে মারা গেলে তারা জানাজার নামাজের সময় বাধা সৃষ্টি করলে জমি রেজিস্ট্রি করে দেবার দায়িত্ব নিলেও এখনো পর্যন্ত উল্লেখিত জমি না দিয়ে চুড়ান্ত হয়রানী করছে ফজলুল । সোবাহান মহুরী জানান এসএ ১৪৫২ নং দাগের জমি ফজলুলের পিতা টাকা নিয়ে রেজিস্ট্রি করে দেবার পূর্বেই মারা গেলে ফজলুল হক জমি না দিয়ে জোড় পূর্বক দখল করে নেয়। শাহাদাৎ আলী, একলাস উদ্দিন, শফিকুল ইসলাম ও রফিকুল ইসলামের নিকট চকরঘুয়া মৌজার আরএস ১১৫০ নং দাগের ৩০১৫ / ২/০৫/৯০ নং দলিল মুলে ২২ শতাংশ ৫০ পয়েন্ট জমি বিক্রি করার পূর্বে একই জমি ফজলুল হকের পিতা হারেজ আলী জীবিত থাকাকালীন তার স্ত্রীর নামে রেজিষ্ট্রি করে দেয়। বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকাবাসীর চাপে পুনরায় আরো এক লাখ টাকা নিয়ে হারেজ আলী তার স্ত্রী হায়াতুন্নেছাকে দিয়ে পুনরায় তাদের নামে রেজিস্ট্রি করে দেয় বলে জানান তারা। এছাড়া ফজলুল হকের পিতা মৃত হারেজ আলী আব্দুর রহমান ও আব্দুস ছাত্তারের নিকট যথাক্রমে চকরঘুয়া মৌজার আরএস ১২৮৮,১২৮৫/১৩০৫ নং দাগের ৪০৯৫/১৫/০৬/১৯৮৮, ২৪৮৯/৪/০৪/৯০ ও ২৪৯০/ ৪/০৪/৯০ নং দলিলমুলে ২০ শতাংশ জমি রেজিস্ট্রি করে দেয়। উল্লেখিত সম্পত্তির মধ্যে ১৫ শতাংশ জমি ইতিমধ্যে মিউটেশন করা হয়েছে। মিউটেশন কেস নং ৩১৪৬/ ১০/১১ ও ৫২৫৮/১০/১১। কিন্তু উল্লেখিত জমি ফজলুল হক তার পিতা বিক্রি করে নাই মর্মে আব্দুর রহমান, আকতার বিশ্বাস উভয় পিতা মৃত খোয়াজ আলী বিশ্বাস, আব্দুল কাদের, আব্দুল সোবহান উভয় পিতা মৃত আজগর আলী বিশ্বাস সহ ৪৪ জনের বিরুদ্ধে ১২৯/১৫ নং পার্টিশন মামলা এবং ১৫৮/১৬ নং দলিল বাতিলের মামলা করে। এবিষয়ে ফজলুল হকের সাথে কথা বললে তিনি জানান একটি পরিবার ছাড়া তার আর কোন পরিবারের সাথে জমি সংক্রান্ত মামলা চলমান নাই। তিনি আরো বলেন জমি তার পিতা প্রকৃতপক্ষে বিক্রি করেছে কিনা টিপসহি যাচাইয়ের জন্য মামলা করেছে। তার পিতা মৃত্যুর পূর্বে একাধিক ব্যক্তির নিকট থেকে টাকা নিয়ে জমি রেজিস্ট্রি না করার বিষয়টি এড়িয়ে যান তিনি। এভাবে এলাকায় বিভিন্ন ভাবে মামলা দিয়ে হয়রানী করায় এলাকাবাসী কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।