
প্রেমের টানে সাতক্ষীরা থেকে পালিয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে বিয়ে করে কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে এসেও শেষ রক্ষা হলোনা সদ্য বিবাহিত নব দম্পতির। লাবনী রাণী বিশ্বাস কোনদিন তার সনাতন হিন্দু ধর্ম ভালো লাগতো না যে কারনেই মুসলিম ছেলেকে বিয়ে করে মুসলমান ধর্মে দিক্ষীত হবার স্বপ্ন দেখতো এমনই গল্প বাস্তবে রুপ দিয়েছে সে। সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি থানার বিশ্বজিৎ ও লক্ষীরানীর মেয়ে লাবনী তার স্বপ্নকে বাস্তবে রুপ দেবার জন্য একই এলাকার মফিজুল ইসলামের ছেলে গোলাম আযমের সাথে প্রেমজ সম্পর্ক গড়ে তোলে। উভয়ের মধ্যে প্রণয় যখন চুড়ান্তে সে সময় তারা উভয়ে সিদ্ধান্ত নেয় বিয়ে করার কিন্তু সমাজ বা পরিবার সেটা মেনে নেবে কেন? এমনই চিন্তা চেতনা থেকে উভয়ই প্রাপ্ত বয়স্ক হবার সুযোগে বাড়ি থেকে পালিয়ে ঢাকা চলে যায়।
গত ২/০২/২০২০ তারিখে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে লাবনী রাণী বিশ্বাস মুসলিম ধর্ম গ্রহণ করে মোছাঃ আঁখি আক্তার নাম ধারন করেন। এবং পরেরদিন ৩/০২/২০২০ তারিখে একই কোর্টে নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে তারা কোর্ট ম্যারেজ করে। হটাৎ করে বাড়ি থেকে পালিয়ে এসে বিয়ে করার পর নিজেদের খরচ যোগান দিতে না পেরে আযম তার স্ত্রীকে নিয়ে চলে আসে কুষ্টিয়ার কুমারখালী আত্নীয় বাড়িতে। নন্দলালপুর ইউনিয়নের সোন্দাহ বাগান পাড়া কাশেমের ছেলে লালনের বাড়িতে তারা স্বামী স্ত্রী আশ্রয় নেয়। কিন্তু বিধি বাম বিষয়টি জানাজানি হলে আজ ১২ ফেব্রুয়ারী উল্লেখিত ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ নওশের আলী তাদেরকে কুমারখালী থানা পুলিশের হাতে তুলে দেয়। এ বিষয়ে কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ জাহাঙ্গীর আলমকে উল্লেখিত বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান, সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি থানায় মেয়ের বাবা বিশ্বজিৎ মামলা করেছেন যে কারনে আমাদের কিছুই করার নেই শুধুমাত্র আমাদের হেফাজতে তারা থাকবে এবং আশাশুনি থানার পুলিশ এসে তাদেরকে নিয়ে যাবে।