০৭:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ৩০ ভাদ্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে নবম শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণ ও হত্যার চেষ্টা করে প্রভাবশালী নেতার লম্পট পুত্র

  • Reporter Name
  • প্রকাশের সময় : ০২:২৮:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ এপ্রিল ২০২০
  • 309

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে নবম শ্রেণী পড়ুয়া জেসমিন নামের এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষন ও হত্যার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায় কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার ধুশুন্ডু গ্রামে জেসমিন খাতুনের বাড়ি। সংসারে অভাবের কারনে কুমারখালী থানাধীন এলঙ্গী ক্লিকমোর এলাকাস্থ তার বড় বোনের শ্বশুরবাড়িতে থেকে কুমারখালী সরকারি পাইলট বালিকা বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণীতে পড়াশোনা করত। এলঙ্গী গ্রামের ক্লিকমোর এলাকার রাজনৈতিক প্রভাবশালী মোহাম্মদ আলতাফ হোসেনের ছেলে লম্পট মোঃ লিটন হোসেন (৩২) ও একই গ্রামের মোঃ আনছার আলীর ছেলে সন্ত্রাসী মোঃ মিজাই (২৭) নামে একাধিক অভিযোগ আছে। ওই ছাত্রী স্কুলের যাতায়াতের সময় দীর্ঘদিন ধরে অনেক রকম বিরক্ত করতে এক সময় কলাকৌশলে তাদের মধ্যে একটা প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। বর্তমান করোনা ভাইরাসের কারনে স্কুল বন্ধ হয়ে গেলে তাদের দেখা সাক্ষাত আর হয় না। এমতাবস্থায় ০২/০৪/২০ আনুমানিক সন্ধ্যা সাতটার দিকে লম্পট লিটন মোবাইল ফোন দিয়ে ওই ছাত্রীকে বাড়ির পূর্ব দক্ষিণ পাশে চাঁদ আলীর কলা ও আম বাগানের মধ্যে দেখা করতে বলে। ঐ স্কুলছাত্রী তার সাথে দেখা করতে গেলে বিয়ে করার আশ্বাস দিয়ে লম্পট লিটন তার গোপনঅঙ্গে হাত দেয়। তার কুপ্রস্তাবে রাজি না হলে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ ও বুকের উপরে পা দিয়ে মুখের ভিতরে জোর করে বিষ ঢেলে দিয়ে মেরে ফেলার চেষ্টা করেন লম্পট লিটন ও সন্ত্রাসী মিজাই। ঘটনা স্থল থেকে মেয়েটি চিৎকার দিলে লম্পট লিটন ও সন্ত্রাসী মিজাই পালিয়ে যায়। পরে জেসমিন খাতুনের আত্বীয় ও স্থাণীয়রা মুমূর্ষ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে দ্রত কুমারখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসে। সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তার মুমূর্ষ জেসমিনের পেট থেকে বিষ তোলে তাকে আশঙ্কা জনক অবস্থা কেবিনে ভর্তি করা হয়। মেয়েটি এখন তার সতীত্বর বিচার ও জীবন যুদ্ধে হাসপাতালের বেডে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। এ বিষয়ে কুমারখালী থানায় গত ০৫/০৪/২০ ইং তারিখে নারী ও শিশু নির্যাতন আইন ২০০০ (সংশোধনী /০৩) এর ৯(৪)(খ)/৩০, তৎসহ- ৩২৮/৩০৭ পেনাল কোড। ধর্ষণের চেষ্টা সহায়তা এবং হত্যার উদ্দেশ্যে বিষাক্ত পয়জন প্রয়োগ করার অপরাধে একটি মামলা হয়। মামলা নং ০৭। এ বিষয়ে লিটন ও মিজাইয়ের সাথে যোগাযোগ করার জন্য তার বাড়িতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি মুঠো ফোনেও তাকে পাওয়া যায়নি। এদিকে প্রভাবশালী নেতারা অসহায় জেসমিনের পরিবারের উপরে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখাছে বিষয় টি প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। বিস্তারিত আসছে পরের সংখায়।

Tag :

মৌলভীবাজারে যৌতুকের দাবিতে গৃহবধূকে নির্যাতন ! প্রশাসনের নিরব ভূমিকা

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে নবম শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণ ও হত্যার চেষ্টা করে প্রভাবশালী নেতার লম্পট পুত্র

প্রকাশের সময় : ০২:২৮:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ এপ্রিল ২০২০

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে নবম শ্রেণী পড়ুয়া জেসমিন নামের এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষন ও হত্যার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায় কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার ধুশুন্ডু গ্রামে জেসমিন খাতুনের বাড়ি। সংসারে অভাবের কারনে কুমারখালী থানাধীন এলঙ্গী ক্লিকমোর এলাকাস্থ তার বড় বোনের শ্বশুরবাড়িতে থেকে কুমারখালী সরকারি পাইলট বালিকা বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণীতে পড়াশোনা করত। এলঙ্গী গ্রামের ক্লিকমোর এলাকার রাজনৈতিক প্রভাবশালী মোহাম্মদ আলতাফ হোসেনের ছেলে লম্পট মোঃ লিটন হোসেন (৩২) ও একই গ্রামের মোঃ আনছার আলীর ছেলে সন্ত্রাসী মোঃ মিজাই (২৭) নামে একাধিক অভিযোগ আছে। ওই ছাত্রী স্কুলের যাতায়াতের সময় দীর্ঘদিন ধরে অনেক রকম বিরক্ত করতে এক সময় কলাকৌশলে তাদের মধ্যে একটা প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। বর্তমান করোনা ভাইরাসের কারনে স্কুল বন্ধ হয়ে গেলে তাদের দেখা সাক্ষাত আর হয় না। এমতাবস্থায় ০২/০৪/২০ আনুমানিক সন্ধ্যা সাতটার দিকে লম্পট লিটন মোবাইল ফোন দিয়ে ওই ছাত্রীকে বাড়ির পূর্ব দক্ষিণ পাশে চাঁদ আলীর কলা ও আম বাগানের মধ্যে দেখা করতে বলে। ঐ স্কুলছাত্রী তার সাথে দেখা করতে গেলে বিয়ে করার আশ্বাস দিয়ে লম্পট লিটন তার গোপনঅঙ্গে হাত দেয়। তার কুপ্রস্তাবে রাজি না হলে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ ও বুকের উপরে পা দিয়ে মুখের ভিতরে জোর করে বিষ ঢেলে দিয়ে মেরে ফেলার চেষ্টা করেন লম্পট লিটন ও সন্ত্রাসী মিজাই। ঘটনা স্থল থেকে মেয়েটি চিৎকার দিলে লম্পট লিটন ও সন্ত্রাসী মিজাই পালিয়ে যায়। পরে জেসমিন খাতুনের আত্বীয় ও স্থাণীয়রা মুমূর্ষ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে দ্রত কুমারখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসে। সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তার মুমূর্ষ জেসমিনের পেট থেকে বিষ তোলে তাকে আশঙ্কা জনক অবস্থা কেবিনে ভর্তি করা হয়। মেয়েটি এখন তার সতীত্বর বিচার ও জীবন যুদ্ধে হাসপাতালের বেডে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। এ বিষয়ে কুমারখালী থানায় গত ০৫/০৪/২০ ইং তারিখে নারী ও শিশু নির্যাতন আইন ২০০০ (সংশোধনী /০৩) এর ৯(৪)(খ)/৩০, তৎসহ- ৩২৮/৩০৭ পেনাল কোড। ধর্ষণের চেষ্টা সহায়তা এবং হত্যার উদ্দেশ্যে বিষাক্ত পয়জন প্রয়োগ করার অপরাধে একটি মামলা হয়। মামলা নং ০৭। এ বিষয়ে লিটন ও মিজাইয়ের সাথে যোগাযোগ করার জন্য তার বাড়িতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি মুঠো ফোনেও তাকে পাওয়া যায়নি। এদিকে প্রভাবশালী নেতারা অসহায় জেসমিনের পরিবারের উপরে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখাছে বিষয় টি প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। বিস্তারিত আসছে পরের সংখায়।