
লিপু খন্দকার : কুমারখালী সরকারি কলেজে গত ১৩ জানুয়ারি বি এম (ভোকেশনাল) শাখার ছাত্র অনার্স ১ম বর্ষের রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রকে ক্লাস রুমে ঢুকে শিক্ষিকার সামনে বেধড়ক মারপিট করার ঘটনায় সংসদ সদস্য ব্যারিষ্টার সেলিম আলতাফ জর্জ কঠোর ভুমিকা রেখেছেন।
কলেজে এই ঘটনার বিষয়ে প্রিন্সিপাল মোঃ শরিফ হোসেন সংসদ সদস্যকে অবহিত করলে তিনি তাতক্ষনিক কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা একেএম মিজানুর রহমানকে তলব করেন। এবং সম্রাটকে আটক করার নির্দেশ দেন। সংসদ সদস্য ব্যারিষ্টার সেলিম আলতাফ জর্জ আরো বলেন দলের নাম ভাঙ্গিয়ে কেউ যদি কোনরূপ অপকর্ম করার চেষ্টা করে সে যেই হোকনা কেন তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। নব নির্বাচিত তারুন্যর অহংকার কুষ্টিয়া-৪ আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিষ্টার সেলিম আলতাফ জর্জের ভুমিকায় ছাত্র ও অভিবাবক মহল সাধুবাদ জানিয়েছেন।
গতকাল বেলা ১১ টার সময় ক্লাস চলাকালীন সময়ে বি এম (ভোকেশনাল) শাখার সম্রাট পিতা ফিরোজ হোসেন অনার্স ১ম বর্ষের রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র জহুরুল পিতা আব্দুর রশিদকে মিছিলে যাবার জন্য বলে। জহুরুল ক্লাস শেষ করে যাবার কথা বললে সম্রাট ক্ষিপ্ত হয়ে শামীমা ম্যাডাম ও শিউলী ম্যাডামের সামনে তাকে বেধড়ক মারপিট করতে থাকে। পরবর্তীতে জহুরুলকে অন্যান্য ছাত্র ও শিক্ষকরা উদ্ধার করে কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। জহুরুলের শারীরিক অবস্থার অবনতির কারনে তাকে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
এ বিষয়ে কুমারখালী সরকারি কলেজের প্রিন্সিপাল মোঃ শরিফ হোসেন জানান, তাতক্ষনিক সম্রাটকে শোকজ করার পর সম্মানিত সংসদ সদস্যকে জানানো হলে তিনি ওসি কে তলব করে উল্লেখিত ছাত্রকে আটক করার কথা বলেন। এবং ইতিমধ্যে কলেজ ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের প্রবেশ নিষেধ মর্মে সাইনবোর্ড টাঙানো হয়েছে বলে জানান। তিনি আরো জানান কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খুবই আন্তরিকতার সাথে সম্রাটকে আটক করার চেষ্টা করছেন এবং নিয়মিত খোঁজ খবর নিচ্ছেন।