০৬:৪৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ৩০ ভাদ্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

কুমারখালী মেসার্স স্বাধীন পোল্ট্রি হাউজ এর ব্রয়লার মুরগির ফ্রার্মের দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। প্রতিবাদ করলেই হুমকি

  • Reporter Name
  • প্রকাশের সময় : ০৭:০৬:১৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ জানুয়ারী ২০২০
  • 277

কুমারখালী উপজেলার নন্দলালপু ইউনিয়নের পুটিয়া গ্রামে মুরগির খামারের বিষ্ঠার দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। অভিযোগ উঠেছে, নীতিমালা উপেক্ষা করে গ্রামের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় ক্ষমতার জোরে খামারটি স্থাপন করা হয়েছে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাছে প্রতিকার চেয়ে গ্ৰামবাসী একটি লিখিত অভিযোগ করেছে।

লিখিত অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দুই বছর আগে গ্রামের প্রভাবশালী মোঃ তারিকুল ইসলাম, ও স্বাধীন বিশ্বাস পিতা : আনোয়ার বিশ্বাস গ্রামের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় ব্রয়লার মুরগির খামার স্থাপন করেন। বর্তমানে খামারে প্রায় আড়াই হাজার মুরগি রয়েছে। মুরগির বিষ্ঠার কারণে এলাকার পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। বিষ্ঠার দুর্গন্ধে খামারের চারদিকে মানুষের বসবাস করা দায় হয়ে পড়েছে। অথচ নীতিমালা অনুযায়ী, একটি মুরগির খামার স্থাপনের জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি ও প্রাণিসম্পদ কার্যালয় থেকে রেজিস্ট্রেশনভুক্ত হতে হবে। ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা এবং জনগণের ক্ষতি হয় এমন স্থানে খামার স্থাপন করা যাবে না।

গত সোমবার সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, খামারটির আশপাশে মুরগির বিষ্ঠা ছড়িয়ে–ছিটিয়ে আছে। পানিনিষ্কাশনের ব্যবস্থা নেই। খামারের চারপাশে বসতবাড়ি। এসব বাড়ি থেকে তীব্র দুর্গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। স্কুল কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের এই দুর্গন্ধে র কারণে লেখাপড়া বন্ধ প্রায়। প্রতিবাদ করলেই বাড়ি বিক্রি করে চলে যাও এমন হুমকি দেওয়া হয়।

গ্রামের বাসিন্দা দিদার হোসেন পিতা : ফজলুল জানান ‘আমার বাড়ির পাশেই খামার। ফ্রার্ম থেকে সব সময় দুর্গন্ধ ছড়ায়। আশপাশে বসবাস করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।’

কলেজছাত্র দিদার হোসেন বলেন, ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা থেকে খামারটি সরানোর জন্য ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে অভিযোগ দিয়েছিল গ্রামবাসী। তিনি ব্যবস্থা নেননি। পরে ১৫/১২/১৯ ডিসেম্বর কুমারখালী ইউএনওর কাছে অভিযোগ দেওয়া হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাকে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা নূর এ আলম বলেন খামারটি স্থাপনে পরিবেশ অধিদপ্তর ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের অনুমতি নেওয়া হয়েছে কি না তা ফ্রার্ম মালিকের কাছে চাওয়া হবে। এ ছাড়া আবাসিক এলাকায় অবস্থিত খামারের বর্জ্য অপসারণের ব্যবস্থা নেই। খামারটি স্থাপনের ক্ষেত্র পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র আছে কি না তাও চাওয়া হবে।

Tag :

মৌলভীবাজারে যৌতুকের দাবিতে গৃহবধূকে নির্যাতন ! প্রশাসনের নিরব ভূমিকা

কুমারখালী মেসার্স স্বাধীন পোল্ট্রি হাউজ এর ব্রয়লার মুরগির ফ্রার্মের দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। প্রতিবাদ করলেই হুমকি

প্রকাশের সময় : ০৭:০৬:১৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ জানুয়ারী ২০২০

কুমারখালী উপজেলার নন্দলালপু ইউনিয়নের পুটিয়া গ্রামে মুরগির খামারের বিষ্ঠার দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। অভিযোগ উঠেছে, নীতিমালা উপেক্ষা করে গ্রামের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় ক্ষমতার জোরে খামারটি স্থাপন করা হয়েছে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাছে প্রতিকার চেয়ে গ্ৰামবাসী একটি লিখিত অভিযোগ করেছে।

লিখিত অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দুই বছর আগে গ্রামের প্রভাবশালী মোঃ তারিকুল ইসলাম, ও স্বাধীন বিশ্বাস পিতা : আনোয়ার বিশ্বাস গ্রামের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় ব্রয়লার মুরগির খামার স্থাপন করেন। বর্তমানে খামারে প্রায় আড়াই হাজার মুরগি রয়েছে। মুরগির বিষ্ঠার কারণে এলাকার পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। বিষ্ঠার দুর্গন্ধে খামারের চারদিকে মানুষের বসবাস করা দায় হয়ে পড়েছে। অথচ নীতিমালা অনুযায়ী, একটি মুরগির খামার স্থাপনের জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি ও প্রাণিসম্পদ কার্যালয় থেকে রেজিস্ট্রেশনভুক্ত হতে হবে। ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা এবং জনগণের ক্ষতি হয় এমন স্থানে খামার স্থাপন করা যাবে না।

গত সোমবার সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, খামারটির আশপাশে মুরগির বিষ্ঠা ছড়িয়ে–ছিটিয়ে আছে। পানিনিষ্কাশনের ব্যবস্থা নেই। খামারের চারপাশে বসতবাড়ি। এসব বাড়ি থেকে তীব্র দুর্গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। স্কুল কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের এই দুর্গন্ধে র কারণে লেখাপড়া বন্ধ প্রায়। প্রতিবাদ করলেই বাড়ি বিক্রি করে চলে যাও এমন হুমকি দেওয়া হয়।

গ্রামের বাসিন্দা দিদার হোসেন পিতা : ফজলুল জানান ‘আমার বাড়ির পাশেই খামার। ফ্রার্ম থেকে সব সময় দুর্গন্ধ ছড়ায়। আশপাশে বসবাস করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।’

কলেজছাত্র দিদার হোসেন বলেন, ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা থেকে খামারটি সরানোর জন্য ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে অভিযোগ দিয়েছিল গ্রামবাসী। তিনি ব্যবস্থা নেননি। পরে ১৫/১২/১৯ ডিসেম্বর কুমারখালী ইউএনওর কাছে অভিযোগ দেওয়া হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাকে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা নূর এ আলম বলেন খামারটি স্থাপনে পরিবেশ অধিদপ্তর ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের অনুমতি নেওয়া হয়েছে কি না তা ফ্রার্ম মালিকের কাছে চাওয়া হবে। এ ছাড়া আবাসিক এলাকায় অবস্থিত খামারের বর্জ্য অপসারণের ব্যবস্থা নেই। খামারটি স্থাপনের ক্ষেত্র পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র আছে কি না তাও চাওয়া হবে।