
বাঙালী জাতির ইতিহাসে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ একটি গুরুত্ব পূর্ণ দিন। বঙ্গবন্ধু তার ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষনে স্পষ্টভাবে স্বাধীনতার আহ্বান জানিয়ে বলেছিলেন “এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম”। বঙ্গবন্ধুর সেই আহ্বানে সাড়া দিয়ে গোটা বাঙালী জাতি ঐক্যবন্ধ হয়ে স্বাধীনতার যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল।
কুমারখালী পাবলিক লাইব্রেরী হলরুমে ব্যাপক সংখ্যক নেতা ও কর্মীর উপস্থিতিতে ৭ মার্চ কুমারখালী মুক্তিযোদ্ধা সমিতি ও মহিলা পরিষদের উদ্যোগে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ পালন উপলক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে , উক্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন কুষ্টিয়া ৪ – সংসদ সেলিম আলতাফ জর্জ । উপস্থিত ছিলেন সামছুজ্জামান অরুণ পৌর মেয়র কুমারখালী পৌরসভা, মুক্তিযোদ্ধা এটি এম আবুল মনছুর মজনু, সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা সমিতি কুমারখালী, মমতাজ বেগম সভাপতি মহিলা পরিষদ কুমারখালী, এই সময় সেলিম আলতাফ জর্জ বলেন‘বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের একটি বিশাল ও রক্তক্ষয়ী পটভ’মি রয়েছে। ঐদিন বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানিদের ২৩ বছরের অত্যাচার-নিপীড়ন আর সীমাহীন বঞ্চনা থেকে মুক্তির জয়বার্তা ঘোষণা করেছিলেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘৩০ লাখ বাঙালির রক্তে, ৪ লাখেরও অধিক মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে স্বাধীনতার যে বিজয় মুকুট পরেছে বাংলাদেশ-তার বীজ অঙ্কুরিত হয়েছিল বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণে।’ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঢাকার রেসর্কোস ময়দানে ঘোষণা করেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ ঐ দিন বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে বাঙালি দলমত-ধর্মবর্ণ নির্রিশেষে স্বাধীনতার লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল। কাজেই ৭ই মার্চের গুরুত্ব আমাদের জীবনে অপরিসীম।তিনি বঙ্গ বন্ধুর সপ্নের সোনার বাংলা গড়তে বাংলাদেশকে রাজাকার মুক্ত করতে জননেত্রী শেখ হাসিনারহাতকে শক্তিশালী করতে সবাইকে একত্রে কাজ করার আহ্বান জানান।