
কুমারখালী উপজেলার ১৪৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এক যোগে স্টুডেন্ট কাউন্সিল নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। বুধবার সকাল ১০টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। শিশুদের মধ্যে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ সৃষ্টির লক্ষে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা দেখা গেছে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা বিদ্যালয় আঙ্গিনায় সাদা-কালো ও কালার পোস্টার সাঁটিয়েছেন। তাছাড়া অভিভাবকরাও বিদ্যালয় আঙ্গিনায় নিজ নিজ প্রার্থীদের পক্ষে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ভোট দেয়ার বিষয়ে কথা বলছেন। বুধবার বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সরেজমিন ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। শিক্ষা অফিস সূত্র জানা যায়, সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত এক যোগে উপজেলার ১৪৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। তৃতীয় শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা এ নির্বাচনে ভোট প্রদান করছে। নির্বাচন অবাদ ও নিরপেক্ষ করার লক্ষে শিক্ষার্থীদের মধ্যে থেকেই প্রিজাইডিং, পোলিং কর্মকর্তা এবং নিরাপত্তার কাজে পুলিশ ও আনসার সদস্য নিয়োগ করা হয়েছে। তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণি থেকে সাতজন প্রার্থী জয়ী হবে। তারা স্বাস্থ্য, বন ও পরিবেশ বিষয়ক, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, আপ্যায়ণসহ সাতটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করবে বলে প্রধান শিক্ষক সেলিম খন্দকার জানান। তেবাড়ীয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্টুডেন্ট কাউন্সিল নির্বাচনে তৃতীয় শ্রেণি থেকে তারিব খান, গালিবুর রহমান, চতুর্থ শ্রেণি থেকে মিনিম ইসলাম, ফাতেমা আক্তার, ইফাত ইসলাম, সিয়াম শিকদার, পঞ্চম শ্রেণি থেকে মোহনা ইসলাম, মারজানা ইসলাম আরাফাত হোসেন ও ইসরাত জাহান প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। কুমারখালী উপজেলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্টুডেন্ট কাউন্সিল নির্বাচনে সাতটি পদে ২ শতাধিক জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। সদকী ইউনিয়ন বাটিকা মারা স্কুলে পঞ্চম শ্রেণির প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী অধরা ও সামিহা চৌধুরী বলে, বিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা বজায় রাখতে শিক্ষার্থীরা তাদের ভোট দিয়ে জয়ী করবে। পৌর এলাকার অভেদান্দ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাছরিন আক্তার বলেন এ বছর নির্বাচনে শিক্ষার্থী ছাড়াও অভিভাবকদের মধ্যে অনেক বেশি উৎসাহ উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছে। তেবাড়ীয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণি থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী মোহনা ইসলাম, মারজানা ইসলাম ও ইসরাত জাহান বলে, জয়-পরাজয় যাই হোক তা আনন্দের সঙ্গে মেনে নেব। কুমারখালী উপজেলা শিক্ষা অফিসার জালাল উদ্দীন বলেন, শিশুদের মধ্যে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ গড়ে তোলার জন্যই এই নির্বাচনের আয়োজন করা হয়েছে।