
কুষ্টিয়ার কুমারখালীর বহুল আলোচিত চা বিক্রেতা ওসমান গনিকে শুধু মধ্যযুগীয় কায়দায় শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেই ক্ষান্ত হয়নি নন্দলালপুর ইউনিয়নের বাঁখই গ্রামের মৃত সামছুদ্দিনের পুত্র হেলাল। শ্লীলতাহানীর অভিযোগ এনে তার মেয়েকে দিয়ে মিথ্যা মামলা করার পাঁয়তারা করছে বলে ভুক্তভোগীদের অভিযোগ। জানা যায়,গত ২৯ শে ডিসেম্বর রোববার গভীর রাতে একই গ্রামের মৃত হিরাজ শেখের পুত্র চা বিক্রেতা মোঃ ওসমান গনি দোকান বন্ধ করে বাড়িতে ফেরার পথে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে হেলাল উদ্দিন সহ আরো ৫/৬ জন ওসমান গনির উপর অতর্কিত হামলা চালায়।এতে ওসমান গনি গুরুতর আহত হলে কুমারখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।পরবর্তীতে এবিষয়ে ওসমানের স্ত্রী বাদী হয়ে কুমারখালী থানায় মামলা দায়ের করে মামলা নং ২১ তাং ৩০/১২/১৯। এতে হেলাল ও তার স্ত্রী কে পুলিশ গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করে।পরবর্তীতে হেলাল ও তার স্ত্রী জামিনে বের হয়ে এসে ওসমান গনির বিরুদ্ধে তার মেয়েকে দিয়ে শ্লীলতাহানির অভিযোগ এনে কুমারখালী থানায় মামলা রুজু করার পাঁয়তারা করছে বলে জানা যায় । হেলাল উদ্দিনের স্ত্রী হাসিনা, তার মেয়ে মীরা, ভাইয়ের বউ হাছিনা বেগম এবং হেলালের বক্তব্য অসংলগ্ন একজনের বক্তব্যর সাথে অপরজনের বক্তব্যর মধ্যে কোন সামঞ্জস্যতা খুঁজে পাওয়া যায়নি। হেলাল তার বক্তব্যর মাঝে স্বীকার করে যেহেতু ওসমান তার বিরুদ্ধে মামলা করে জেলহাজতে প্রেরণ করেছে সেহেতু তাকে শায়েস্তা করতেই সে তার মেয়েকে দিয়ে মামলা করনোর পাঁয়তারা করছে। তার এই স্বীকারোক্তির ভিডিও রেকর্ডিং সাংবাদিকদের নিকট সংরক্ষিত আছে। এদিকে ২৯ ডিসেম্বর থেকে আজ অবধি ওসমান গনির চিকিৎসার ব্যয়ভার মেটাতে ইতিমধ্যে জমি বন্ধক রেখে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে সেটিও তলানিতে পৌঁছে গেছে বলে ওসমানের স্ত্রী নাজমা খাতুন জানায়। এবিষয়ে কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ জাহাঙ্গীর আলম জানান, ওসমান গনি চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় সংবাদ পেয়ে হাসপাতালে তিনি নিজে গিয়ে মামলা নেন। এবং হেলালের মেয়েকে দিয়ে মিথ্যা মামলা করানোর চেষ্টার বিষয়ে জানান, তিনি থাকতে কুমারখালী থানায় কোন মিথ্যা মামলা বা কারো হয়রানি করার সুযোগ নাই।