
লিপু খন্দকারঃ
উপজেলার চর সাদিপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের ৯ বছর বয়সী ৩য় শ্রেণীর ছাত্রী হুসনিয়ারা ওরফে সাকিবাকে ৩০ ডিসেম্বর রবিবার বিবাহ দেবার প্রস্তুতি নিচ্ছে তার পিতা জামাল শেখ।
জন্ম নিবন্ধন অনুযায়ী হুসনিয়ারার জন্ম তারিখ ২০/০৭/২০০৯। জামাল শেখের ছোট মেয়ে হুসনিয়ারার ডাক নাম সাকিবা । এলাকাবাসী ও হুসনিয়ারার ভাই জানায় সে এই বছর গোবিন্দপুর প্রাক প্রাথমিক বিদ্যালয় (ব্রাক) থেকে পাশ করে ৩য় শ্রেণীতে উঠছে। বিয়ে সম্পর্কে তার কোন জ্ঞান না থাকলেও বসতে হচ্ছে বিয়ের পিড়ীতে। পাবনা সদর উপজেলার দোগাছী ইউনিয়নের পদ্মা কলেজ মন্ডল পাড়া গ্রামের সেকেন মন্ডলের ছেলে মিজানুর ওরফে মিজানের সাথে ঠিক করা হয়েছে এই বাল্যবিবাহ। মিজান পেশায় কাঁঠ মিস্ত্রী বলে জানা গেছে।
ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার মিশনের কয়েকটি পদক্ষেপের মধ্যে অন্যতম বাল্যবিবাহ বন্ধ করন। মানণীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা বাল্যবিবাহ বন্ধ করনের জন্য একাধিক ব্যবস্থা গ্রহণ করলেও সরকারি নির্দেশ অমান্য করে ব্যাক্তি স্বার্থ চরিতার্থের জন্য নিষ্পাপ ফুলের মতো সাকিবার ভবিষত্ অন্ধকারে ঠেলে দিচ্ছে তার পাষন্ড পিতা। কিছুদিন আগে বাংলাদেশে আলোচনার ঝড় উঠেছিল এমনই অপ্রাপ্ত বয়স্ক একটি মেয়ের বিয়ের প্রথম রাতে রক্ত ক্ষরনে অকাল মৃত্যুর করুন কাহিনীকে ঘিরে।
৩য় শেণীর ছাত্রী সাকিবা এবং তার ভাই বোন কেউই এই বিয়েতে রাজি না থাকলেও চর সাদীপুর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড মেম্বর সিরাজুল ইসলামের শ্যালকের সাথে উল্লেখিত বিয়ে ধার্য হবার কারনে তার মদদে হচ্ছে এই বাল্যবিবাহ। ইউ,পি সদস্য সিরাজুল ইসলাম হুসনিয়ারার বাবা-মা কে আশ্বস্থ করেন যে তার মেয়ে এই বাড়িতে বিয়ে দিলে সুখি হবে এবং প্রশাসনের সব দায়িত্ব সে নেবে। সে আরো জানায়, কোন পুলিশ প্রশাসন এই বিয়ে ঠেকাতে পারবে না। প্রয়োজনে কোর্ট থেকে বিয়ে দেয়া হবে।
অবিলম্বে ৩য় শ্রেণীর ছাত্রী সাকিবার বাল্যবিবাহ বন্ধ করনের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজীবুল ইসলাম খানের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে এলাকাবাসী ও কুমারখালীর সচেতন মহল।