
কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার শত বছরের পুরানো ঐতিহ্যবাহী যদুবয়রা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ২য় ও ৩য় তলা ভবন উর্দ্ধমূখী সম্প্রসারণ কাজের ৩য় তলার ছাদ ঢালায় কাজে মিশ্র প্রকৃতির খোয়ার সাথে ৩০ থেকে ৪০ ভাগ রাবিশ মিশিয়ে ছাদ ঢালায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সোমবার সকালে সরেজমিন গেলে,স্থানীয়রা জানান,শিক্ষকদের সামনে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের প্রকৌশলী শাহিনুজ্জামানের যোগসাজশে ঠিকাদার নিম্নমানের খোয়ার সাথে রাবিশ মিশিয়ে ছাদ ঢালায়ের কাজ তড়িঘড়ি করে রোববার সম্পন্ন করেছে।
রাবিশের বিষয় স্বীকার করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার ফয়েজ জানান, প্রায় ২৫ ভাগ রাবিশ আছে।ইট ভাঙলে রাবিশ থাকেই। পানি দিলে রাবিশ চলে যায়।তিনি আরো জানান,প্রায় ছয় মাস আগে ইট ভাঙা হয়েছে।তবে ইটের মান ভাল।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের প্রকৌশলী শাহীনুজ্জামান প্রথমে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হননি।পরবর্তীতে তিনি জানান,কাজের মান খুব ভাল। ইট ভাঙলে তো রাবিশ হবেই।
এবিষয়ে কুমারখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজীবুল ইসলাম খান,জানান,খবর পাওয়া মাত্রই গতকাল (রোববার) শিক্ষা প্রকৌশলী অফিসকে জানানো হয়।তারা আমাকে আশ্বস্থ করেছিলেন কাজের মান যাচাই না করে আর কাজ করা হবে না।কিন্তু পরিবর্তে মান যাচাই না করেই কাজ সমাপ্ত করার বিষয় আমার জানা নেই।তিনি আরো জানান,আগামী জেলা সমন্বয় সভায় বিষয়টি উপস্থাপন করব।
জানা যায়,কুষ্টিয়ার পেয়ারাতলার রাদিতা এন্টারপ্রাইজ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে প্রায় ৬৬ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নির্মিত যদুবয়রা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলার উর্দ্ধমূখী সম্প্রসারণ কাজ গত ১৮/০৬/২০১৮ ইং তারিখে শুরু হয়ে ১৭/০২/২০১৯ ইং তারিখে শেষ হওয়ার কথা।কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অনিয়ম, দুর্নীতি ও গড়িমসিতে নির্ধারিত সময়ের অতিরিক্ত ১০ মাস পার হলেও শেষ হয়নি নির্মাণাধীন কাজ।ফলে ব্যাহত হচ্ছে বিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রম।দুর্ভোগ চরমে।