
কুষ্টিয়ার কুমারখালীর শিলাইদহ ইউনিয়নের কল্যানপুর গ্রামের প্রভাবশালী ব্যক্তিদের দ্বারা বিলকিস নামক এক গৃহবধূর শ্লীলতাহানির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ভুক্তভোগী পরিবার জানান, কল্যাণপুর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত ওসমান গনির ছেলে মাজগ্রাম প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মতিন একই গ্রামের দিনমজুর রফিকুলের স্ত্রীকে দীর্ঘদিন যাবত কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছে। কিন্তু বিলকিস বিষয়টি তার স্বামীকে জানালেও লোকলজ্জার ভয়ে অন্য কাউকে জানায়নি। এমনকি হতদরিদ্র রফিকুল প্রভাবশালী মতিন মাস্টারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে সাহস পায়নি। যেকারনে দিনের পর দিন মতিন মাস্টারের সাহস বাড়তে থাকে এবং প্রায় প্রতিরাতেই জানালার কাছে এসে দরজা খুলতে বলে। কোনভাবেই মতিন মাস্টারের ডাকে সাড়া না দেয়ায় সে বিলকিসের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্রের জাল বুনতে থাকে এবং এ ব্যাপারে তার আপন ছোট ভাই বাঁখই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক জহুরুল তাকে সহযোগিতা করে বলে জানা যায়।
ঘটনার পরেরদিন মঙ্গলবার ১৪ এপ্রিল দুপুরে সরেজমিন গেলে বিলকিস জানান,প্রায় দুই বছর ধরে মতিন ও জহুরুল তাকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছে। মাঝে মাঝে জানালায় এসে বিরক্ত করে। গত রোববার রাত ১২ টার দিকে মতিন ও জহুরুল বাড়ির মধ্যে প্রবেশ করে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে এসময় সে ঘর থেকে বের হলে মতিন তাকে বেধড়ক মারপিট করে বেআব্রু করে ফেলে এবং টেনে তাদের বাড়ির দিকে নিয়ে যাবার চেষ্টা করে এবং তাদের সাথে থাকা ৫/৬ জন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তার বাড়িতে ভাংচুর করে। এসময় তাদের চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে আসলে মতিন মাস্টার তার ভাই ও সঙ্গীয় সন্ত্রাসীরা স্থান ত্যাগ করে।
এবিষয়ে বিলকিসের স্বামী রফিকুল জানান,দীর্ঘদিন ধরে ওরা দুই ভাই তার বউয়ের শ্লীতাহানির চেষ্টা করছে। তিনি এর সুষ্ঠ বিচার দাবী করেন।
স্থানীয় ইউপি মেম্বর মিরাজ জানান,মতিন ও জহুরুল প্রভাবশালী হওয়ায় এলাকায় বিভিন্ন ধরনের অপকর্ম করে বেড়ায়।তিনি আরো জানান দীর্ঘদিন ধরে ওরা ভুক্তভোগী পরিবারকে উচ্ছেদের পাঁয়তারা করছে।ভুক্তভোগী পরিবার অসহায় হওয়ায় ভয়ে মুখ খোলেনা।মেম্বর বলেন,অপরাধীদের সুষ্ঠ বিচার চাই।
এবিষয়ে মুঠোফোনে রফিকুলের স্ত্রীকে দীর্ঘদিন যাবত কুপ্রস্তাব দেবার বিষয়ে মতিন মাস্টার বলেন ঘটনা সত্য নয়।
এব্যাপারে কুমারখালী থানায় দরখাস্ত প্রেরন করা হয়েছে বলে ভুক্তভোগী পরিবার জানান।