
কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার চাপরা ইউনিয়নের পাহাড়পুরে ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে দু’গ্রুপের সংঘর্ষে মৃত চাঁদ আলীর ছেলে নেহেদ আলী (৬০ ) ও বকুল আলী (৫৫) নামে আপন দুই সহোদর নিহত হয়েছে।
এলাকাবাসী জানান, গতকাল ৩০ মার্চ দুপুরে পাহাড়পুর দক্ষিণপাড়া ঈদগাহ মাঠে ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে ইউসুফের ছেলে রাজু মুক্তারের ছেলে নাহিদকে ধাক্কা দেয় এবং এই ঘটনার জেরে সন্ধ্যার পর নাহিদের নেতৃত্বে রাজুকে ৭/৮ জন মেরে আহত করে। আহত অবস্থায় রাজুকে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতাল থেকে নিয়ে এসে কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য ভর্তি রাখা হয়। রাজুকে মারার কারনে নাহিদসহ তিনজনকে বাঁশগ্রাম ক্যাম্পে ধরে নিয়ে আসে এবং পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে বাঁধবাজার পুলিশ ক্যাম্পে উভয়ের মধ্যে সালিশ বৈঠক হয়। পরে সালিসী বৈঠক থেকে বাঁধবাজারে এসে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুর রাজ্জাকের সমর্থিত লোকজন চাপড়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড মেম্বার ফিরোজুর রহমান কটার অফিসের সামনে এসে তাকে বকাবকি করে। এবং এক পর্যায়ে উভয়ের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এদিকে আজ বিকেলে রাজু হাসপাতাল থেকে বিকেলে রিলিজ নিয়ে বাড়িতে আসে। সন্ধ্যা ৭ টার পরে কমলাপুর বাজার থেকে নেহেদ আলী ও বকুল আলী বাড়ি যাবার পথে পাহাড়পুর গ্রামের বানু মন্ডল এর বাড়ির কাছে পৌঁছালে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা পাহাড়পুর গ্রামের খোকন, ভুট্টো, তরুণ, শিশির, শাহজাহানসহ ১০/১২ জন তাদের কুপিয়ে গুরুতর জখম করে আহত করে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলেই নেহেদ মারা যায় এবং বকুলকে মারাত্মক আহত অবস্থায় কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে যাবার পর চিকিৎসারত অবস্থায় সেও মারা যায়।
এ ব্যাপারে কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম খুনের বিষয়টি নিশ্চিত করেন এবং জানান পাহাড়পুরের ঘটনায় দুজন নিহত হয়েছে বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত করতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।