
প্রতি বছর প্রত্যেক চাষীদের লক্ষ্য উদ্দেশ্য থাকে কিভাবে সংসার চলবে, কিভাবে সন্তানদের পড়ালেখা সহ বিভিন্ন বিভিন্ন কর্মের পরিকল্পনা। কারণ এসময় তাদের মৌসুমী ফল ফলন হয় এবং পাহাড়ীদের বিঝু (পহেলা বৈশাখ) উৎসবের ন্যায্য মূল্য পায়। কিন্তু এবছর করোনা ভাইরাসের কারণে সবকিছু এলোমেলো হয়ে গেল প্রত্যক চাষীর। তাদের দুঃখের কথা শোনার কেউ নেই।
রাঙামাটি, বনরুপা সমতাঘাটে এক চাষী জানান যে, আনারস আর তরমুজ বিঝু (পহেলা বৈশাখ)’র আগে ভালো বেচাকেনা হতো। কিন্তু এখন করোনা ভাইরাসের কারণে ব্যবসায়ী না থাকায় কম দামে ও বিক্রি হচ্ছে না তাই এখন কি করবো ভেবে ও কূল পাচ্ছি না। তিন সন্তান রাঙামাটি কলেজ ও স্কুলে পড়ালেখা করছে।তাদের খরচ কিভাবে চালাবো বুঝতে পারছি না।
আরো একজন চাষী বলেন, প্রকৃত দামে বিক্রি না হওয়ায় আমরা হতাশ। যে টাকা ব্যয় করা হয়েছে সেই টাকাও পাওয়া যাবে। লোনের টাকা কি ভাবে শোধ করবো জানিনা।
ব্যবসায়ীদের মন্তব্য, করোনাভাইরাসের জন্য দেশের লোকজন সবাই লক ডাউনে, কার কাছে বিক্রি করবো। ঠিক মত চলতেছে না গাড়ি। তাই এখন চাষীসহ ব্যবসায়ীদের দুর্দশা।
নেই কাস্টমার, নেই ব্যবসায়ী কার কাছে বিক্রি করবে মৌসুমী ফল তরমুজ, আনারস। পঁচে যাচ্ছে মৌসুমী ফল। তাই বাধ্য হয়ে নিয়ে আসতে হচ্ছে বাজারে।
তবে লোভনীয় কালার ফুটে উঠলেও করোনার মহামারীতে পানির দামে এখন এই মৌসুমী ফল তরমুজ আর আনারস।